আরবিতে দক্ষ হলেই আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও পোস্টগ্র্যাজুয়েটে বৃত্তি

ফাইল ছবি

মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের অন্যতম একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আল–শরিফ ইনস্টিটিউট বিদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে। এ বৃত্তি নিয়ে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ও মাস্টার্সের ভর্তির সুযোগ পাবেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও। এ জন্য ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট করার জন্য স্কলারশিপ দেওয়া হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যথাযথ নিয়ম মেনে আবেদন করতে হবে। আরবি ভাষায় দক্ষ শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তির জন্য প্রাধান্য দেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বৃত্তিসংক্রান্ত সব তথ্য দেওয়া রয়েছে। আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবেন আজ বুধবার (৯ আগস্ট) পর্যন্ত।

আবেদনের লিংক

আগ্রহীদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনলাইন http://202.72.235.210/scholarship.alazhar লিংকে তথ্য দাখিল করতে যাবে। ফরম পূরণের গাইডলাইনও এখানে পাবেন শিক্ষার্থীরা। লিংকটি ৯ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত ওপেন থাকবে। আবেদনের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটেও।

আল–আজহার বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম সেরা শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে বিবেচ্য। ফাতেমি খিলাফতের সময় ৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে কোরআন ও ইসলামি আইন শিক্ষার জন্য এই শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বর্তমানে সেক্যুলার বিষয়াদিও কারিকুলামে সন্নিবেশিত আছে।

মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট জামাল আবদেল নাসের ১৯৬১ সালে আল–আজহারকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করেছিলেন এবং অনেক সেক্যুলার বিষয়ও এর অন্তর্ভুক্ত হয়।যেমন ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, ফার্মেসি, মেডিসিন, প্রকৌশল, কৃষি ইত্যাদি। মিসরের বাইরে ফিলিস্তিনের গাজা এবং কাতারের দোহায় আল–আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা রয়েছে।

বর্তমানে আল–আজহারের ১৫ হাজার ১৫৫ শ্রেণিকক্ষে ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষক পাঠদান করেন। তাঁদের কাছ থেকে পাঠ গ্রহণ করেন ৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের ২০ শতাংশ বিদেশি। বর্তমানে ১০২টি দেশের শিক্ষার্থী আল–আজহারে লেখাপড়া করছেন। শিক্ষকসহ আল–আজহারের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার। তবে আল–আজহারের অধীনে মিসরের প্রায় চার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। এ হিসাবে আল–আজহারের বর্তমান শিক্ষার্থী ২০ লাখের মতো।