আইএমওর মহাসচিব আর্সেনিও অ্যান্তোনিও ডমিনগুয়েজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। গণভবন, ঢাকা, ৩০ মে
আইএমওর মহাসচিব আর্সেনিও অ্যান্তোনিও ডমিনগুয়েজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। গণভবন, ঢাকা, ৩০ মে

আইএমওর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মেরিন স্কলারশিপ করতে চায় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মাধ্যমে ছোট দ্বীপ ও আফ্রিকান স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য বঙ্গবন্ধুর নামে সামুদ্রিক খাতে বৃত্তি চালু করতে চায়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আইএমওর মহাসচিব আর্সেনিও অ্যান্তোনিও ডমিনগুয়েজ তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি বলেন, ‘আমরা আইএমওর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নামে ১০টি ক্যাডেট প্রশিক্ষণ বৃত্তি চালু করতে চাই।’

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম বলেন, আইএমওর মহাসচিব প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন। বৃত্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আইএমওর মহাসচিব নারী মেরিনার বাড়ানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার প্রথম নারী মেরিনারদের নিয়োগ দিয়েছে এবং তাঁদের নাবিক হতে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি এক মাসের মধ্যে ছিনতাইকৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ক্রুদের মুক্ত করতে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য আইএমওর প্রশংসা করেন। শেখ হাসিনা সামুদ্রিক পথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইএমওকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির জন্য সমুদ্রপথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো একসঙ্গে সমুদ্রপথের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করছে। সমুদ্রপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্যান্য জায়গায় একই ধরনের উদ্যোগ নিন।’

বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাগুলোর পাশাপাশি জাহাজ নির্মাণ এবং এর রিসাইক্লিং শিল্প নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার জাহাজ নির্মাণ এবং এর রিসাইক্লিং শিল্পে নিরাপত্তাব্যবস্থা বাড়িয়েছে।

ছবি: বাসস

জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশকে বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও খরার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রিমালের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘস্থায়ী ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে বাংলাদেশের সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে।

প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।