কানাডায় পিএইচডি ফেলোশিপ পাবেন বাংলাদেশি শিক্ষকেরা

ফেলোশিপের আওতায় কানাডার কুইবেক প্রদেশের মন্ট্রিল নগরীর ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর পিএইচডি করার সুযোগ পাবেন বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষক। এ ফেলোশিপের খরচ যৌথভাবে বহন করবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়।

ইউজিসি এবং ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক যৌথ পিএইচডি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালুর বিষয়ে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। আজ বৃহস্পতিবার এ–সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। কমিশনের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন কমিশনের সচিব ফেরদৌস জামান এবং ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির গ্র্যাজুয়েট অ্যান্ড পোস্ট ডক্টরাল স্টাডিজের ডিন জোসেফিন নালবানটুগলো।

ম্যাকগিল-ইউজিসি ফেলোকে ইউজিসি থেকে হেলথ ও লিভিং ইনস্যুরেন্স, থাকা-খাওয়ার খরচ এবং বেতন সহায়তা বাবদ বছরে প্রায় ২৫ হাজার ৯০০ কানাডিয়ান ডলার প্রদান করবে। এর বাইরে ইউজিসি বিমান ভাড়া দেবে। ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণ টিউশন ফি এবং আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ বছরে প্রায় ২০ হাজার ২১৪ কানাডিয়ান ডলার প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য খরচ বহন করবে।

সমঝোতা স্মারকের শর্ত অনুযায়ী, ম্যাকগিল-ইউজিসি ফেলোকে ইউজিসি থেকে হেলথ ও লিভিং ইনস্যুরেন্স, থাকা-খাওয়ার খরচ এবং বেতন সহায়তা বাবদ বছরে প্রায় ২৫ হাজার ৯০০ কানাডিয়ান ডলার প্রদান করা হবে। এর বাইরে ইউজিসি প্রত্যেক ফেলোর আসা–যাওয়ার বিমান ভাড়ার খরচ বহন করবে। অন্যদিকে ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পূর্ণ টিউশন ফি এবং আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ বছরে প্রায় ২০ হাজার ২১৪ কানাডিয়ান ডলার প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য খরচ বহন করবে।

ফেলোশিপের আওতায় একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ চার বছর এসব সুবিধা প্রাপ্য হবেন বলে সমঝোতা স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে। ফেলোশিপ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একজন ফেলোকে ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে হবে, যার মধ্যে একাডেমিক পারফরম্যান্স এবং ইংরেজি ভাষা দক্ষতা অন্যতম।

ফেলোশিপ–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য যথাসময়ে ইউজিসি এবং ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।