বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফুল-ফ্রি স্কলারশিপে পড়াশোনা করার ঘোষণা দিয়েছে সুইডেন সরকার। বাংলাদেশসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশের নাগরিক সুইডিশ ইনস্টিটিউট (এসআই স্কলারশিপ) স্কলারশিপ ফর গ্লোবাল প্রফেশনাল নামের এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সুইডেন সরকারের এই এসআই বৃত্তি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য আবেদন শুরু হয়েছে। এসআই গ্লোবাল প্রফেশনাল স্কলারশিপ সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তি, যা টিউশন ফি, জীবনযাত্রা, ভ্রমণের খরচ ও স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা দেয়।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুইডিশ ইনস্টিটিউট (এসআই) ৭০০টির বেশি মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য বৃত্তি দেবে। সম্পূর্ণ অর্থায়িত এ বৃত্তিতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের সময় এক বা দুই বছর হতে পারে। এ স্কলারশিপে আবেদনের জন্য আইইএলটিএসের প্রয়োজন নেই। কেউ বৃত্তি পেলে ২০২৪ সালের অটাম সেমিস্টারে পড়াশোনা শুরু হবে।
এসআই বৃত্তির বিশদ বিবরণ
• আয়োজক দেশ: সুইডেন
• বৃত্তির নাম: সুইডিশ ইনস্টিটিউট (এসআই) গ্লোবাল প্রফেশনাল স্কলারশিপ
• আর্থিক সুবিধা: সম্পূর্ণ অর্থায়ন
• এসআই স্কলারশিপে আবেদনের শেষ দিন: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
• স্কলারশিপের ফলাফল প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪।
আর্থিক সুবিধা
সুইডিশ ইনস্টিটিউট গ্লোবাল স্কলারশিপ সুইডেনে পড়াশোনার জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তি। এ বৃত্তিতে যেসব সুবিধা পাবেন শিক্ষার্থীরা।
সম্পূর্ণ টিউশন ফি ফ্রি।
জীবনযাত্রার খরচের জন্য মাসে ১২ হাজার সুইডিস ক্রোনার পাবেন শিক্ষার্থীরা (১১ নভেম্বরের হিসাবে ১ ক্রোনা সমান ১০.০৮ টাকা ধরলে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকায় দাঁড়ায় ১ লাখ ২০ হাজার ৯৫০ টাকা)।
অসুস্থতা ও দুর্ঘটনার বিমা।
ভ্রমণের জন্য ১৫ হাজার সুইডিশ ক্রোনা অনুদান।
ফিউচার গ্লোবাল প্রফেশনালদের এসআই নেটওয়ার্কের সদস্যপদ।
কোন কোন বিষয়ে মিলবে বৃত্তি
সুইডেনের এসআই বৃত্তিতে ১০০০টির মধ্যে ৭০০টির বেশি ইংরেজি ভাষার মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য। মানবিক; কৃষিবিজ্ঞান; মেডিসিন ও জনস্বাস্থ্য; প্রাকৃতিক বিজ্ঞান; সামাজিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে এসআই গ্লোবাল স্কলারশিপ প্রদান করে সুইডেন সরকার।
বৃত্তির যোগ্যতার মানদণ্ড
এ বৃত্তির আবেদনের জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের অবশ্যই কিছু কিছু শর্ত বা নিয়ম মানতে হবে।
• আপনাকে অবশ্যই একটি সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং জানুয়ারি ২০২৪–এর মধ্যে একটি অফার লেটার পেতে হবে।
• আপনাকে অবশ্যই একটি যোগ্য মাস্টার্স ডিগ্রি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে হবে।
• আপনাকে অবশ্যই একটি যোগ্য দেশের নাগরিক হতে হবে।
• আবেদনকারীকে অবশ্যই তিন হাজার ঘণ্টার কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথি
জীবনবৃত্তান্ত দিতে হবে, তবে এ ক্ষেত্রে জীবনবৃন্তাত্ত তিন পৃষ্ঠার বেশি হওয়া উচিত নয়।
দুটি রেফারেন্স লেটার থাকতে হবে।
কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র।
বৈধ পাসপোর্ট।
মোটিভেশন লেটার দিতে হবে।