বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক অনুদান পেতে অনলাইনে আবেদন শেষ আগামীকাল রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর)। ওই দিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে অনলাইনে আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞানাগারে ব্যবহার করার জন্য কেমিক্যালস-যন্ত্রপাতি ক্রয়ের আর্থিক অনুদান দেওয়ার উদ্দেশ্যে ‘বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞান ক্লাবগুলোকে আর্থিক অনুদান দেওয়া সংক্রান্ত সাধারণ নীতিমালা, ২০১৯ (সংশোধিত)’ অনুসারে দেশের বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন দাখিল ১৫ সেপ্টেম্বর। আবেদনপত্রে অনুদানের জন্য সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত প্রস্তাব করা যাবে। নীতিমালাসহ আবেদনপত্রসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
আর্থিক অনুদান প্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রত্যয়ন নিতে হবে।
অনুদানের টাকা দিয়ে কোনো অবস্থাতেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনো প্রকার ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ বা নির্মাণসামগ্রী ক্রয় করতে পারবে না।
বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা বোর্ডগুলোর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত (বিজ্ঞান বিভাগের) বিধিবদ্ধ সংস্থার রেজিস্ট্রেশন অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কার্যালয় থাকতে হবে।
প্রতি অর্থবছরে নিয়মিত প্রকাশনা, সম্মেলন, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা বা প্রদর্শনীর আয়োজন সম্পর্কে তথ্য পেশ করতে হবে।
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত গঠনতন্ত্র থাকতে হবে এবং গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিয়মিত সভা অনুষ্ঠানের প্রমাণ আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়মিত আয়ের উৎস থাকতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশের যেকোনো তফসিলি ব্যাংকে একটি চলতি অনলাইন হিসাব থাকতে হবে এবং মাসভিত্তিক গচ্ছিত টাকার ব্যাংক সার্টিফিকেট দাখিলের নিশ্চয়তা দেওয়াসহ এ মর্মে একটি সনদ-অঙ্গীকারনামা আবেদনপত্রের সঙ্গে দাখিল করতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্টসহ বার্ষিক আয়-ব্যয় এবং অন্যান্য উৎস থেকে প্রাপ্ত সরকারি অনুদানের বিবরণী জমা দিতে হবে।
বিগত সময়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে কোনো অনুদান পাওয়া গেলে সেই অনুদানের ব্যয়ের বিবরণী দাখিল করতে হবে।
অনুদানের অর্থে কোনো অবস্থাতেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোনো প্রকার ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ বা নির্মাণসামগ্রী ক্রয় করতে পারবে না।
অনুদানের অর্থ দ্বারা কোনো অবস্থাতেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন–ভাতাদি/সম্মানী প্রদান বা অফিস পরিচালনার জন্য ব্যয় নির্বাহ করতে পারবে না।
অনুদানের অর্থ দ্বারা শুধু বিজ্ঞানাগারে ব্যবহার্য কেমিক্যালস বা যন্ত্রপাতি ক্রয় করা যাবে।
অনুদানের অর্থ নির্দিষ্ট অর্থবছরের মধ্যে যথাযথভাবে ব্যবহারে অসমর্থ হলে মঞ্জুরি করা সম্পূর্ণ অর্থ অথবা আংশিক অব্যয়িত অর্থ ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করে জমা প্রদানের রশিদ (ট্রেজারি রশিদের সনদ-CTR সহ) মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।
এ অর্থ ব্যয়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮–এ উল্লিখিত যাবতীয় বিধিবিধান ও নিয়মকানুন যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে।
এ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে কমপক্ষে তিন সদস্যবিশিষ্ট ক্রয় কমিটি গঠন করতে হবে।