চীনের এক বৃত্তিতে ২৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা, আছে বিমানভাড়া, বাসস্থান ভাতাসহ নানা সুবিধা

চীনের মিনিস্ট্রি অব ফাইন্যান্সের অর্থায়নে যেকোনো দেশের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য বৃত্তি হলো মফকম বৃত্তি। ১–২ বছর মেয়াদি মাস্টার্স এবং ৩ বছর মেয়াদি পিএইচডি ডিগ্রির জন্য এ বৃত্তি দেওয়া হয়। বাংলাদেশিরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকারি কর্মচারী, রিসার্চ ফেলো এবং ব্যবস্থাপনা খাতে ৩ বছর কাজ করা এবং ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করা অভিজ্ঞ প্রফেশনালরা আবেদন করতে পারবেন এ বৃত্তির জন্য। চীনের ২৭টি প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যাবে এই বৃত্তির জন্য।

কেন চীনে পড়তে যাবেন—

*চীন এই মুহূর্তে দুনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ;
*এই স্কলারশিপের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বের সেরা ইউনিভার্সিটির তালিকার প্রথম দিকে;
*পড়ালেখার মান জগদ্বিখ্যাত;
*জীবনযাপনের মানের দিক থেকে এই মুহূর্তে চীন সবার চেয়ে এগিয়ে।

স্কলারশিপের সুযোগ-সুবিধা—

*সম্পূর্ণ  টিউশান ফি প্রদান;
*বই এবং ট্রেনিংসামগ্রী ভাতা প্রদান;
*মাস্টার্সে বছরে ৩৬ হাজার ইউয়ান বা মাসে ৩ হাজার ইউয়ান ভাতা প্রদান;
*পিএইচডিতে ৪৮ হাজার ইউয়ান বা মাসে ৪ হাজার ইউয়ান ভাতা প্রদান;
*গবেষণা সহায়তা প্রদান;
*৩ হাজার ইউয়ান স্থানান্তর ভাতা প্রদান (এককালীন);
*ক্যাম্পাসে ফ্রি বাসস্থান;
*মেডিকেল ইনস্যুরেন্স প্রদান;
*চীনে যাতায়াতের বিমান টিকিট। (১ বছরের বেশি সময়ের কোর্স হলে, প্রতিবছর একবার ভ্রমণের জন্য যাতায়াতের বিমান টিকিট)।

শর্তাবলি—

প্রথম বছরের পর বাৎসরিক রিভিউ হয় এবং সেখানে সন্তোষজনক ফল করলেই দ্বিতীয় বছরের জন্য বৃত্তি পান শিক্ষার্থীরা।

আবেদনের যোগ্যতা—

*বাংলাদেশের নাগরিক এবং ৪৫ বছরের কম
*স্নাতক ডিগ্রিধারী এবং ৩ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা
*আইইএলটিএস স্কোর ৬

প্রয়োজনীয় নথি—

* আবেদনকারীর জীবনবৃত্তান্ত/একাডেমিক সিভি
* স্টেটমেন্ট, গবেষণা প্রস্তাবনা এবং ক্যারিয়ার ভাবনা
* একাডেমিক ফলাফলের প্রমাণ হিসেবে নম্বরপত্র বা সার্টিফিকেট
* একাডেমিক রিকমেন্ডেশন এবং প্রফেশনাল রিকমেন্ডেশন
* পাসপোর্টের কপি
* ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমানপত্র (আইএলটিএস)
* পাসপোর্ট আকারের ছবি
* বৃত্তি আবেদন ফর্ম

গুরুত্বপূর্ণ তারিখ—

* আবেদনের শেষ: ১ এপ্রিল ২০২৪
* ফল প্রকাশ: ২০২৪ সালের আগস্টের শেষ সপ্তাহে
* ফল বাংলাদেশে অবস্থিত চীন দূতাবাস থেকেও মিলবে
মফকম বৃত্তির আবেদনসহ বিস্তারিত তথ্যর জন্য এখানে ঢুঁ মারতে পারেন

*লেখক: মাহামুদুল হাসান, ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞ