২০২৪ সালের ইয়েল ওয়ার্ল্ড ফেলো প্রোগ্রামে আবেদন গ্রহণ শুরু হচ্ছে। ‘ওয়ার্ল্ড ফেলোস প্রোগ্রাম’-এ ভর্তির সুযোগ পেতে বেশ প্রতিযোগিতায় পড়তে হয়। কয়েকটি ফেলোশিপের জন্য বিশ্বের হাজারো আবেদন জমা পড়ে। প্রতিভা, অভিজ্ঞতা, সংস্কৃতি ও দৃষ্টিভঙ্গির বৈচিত্র্যের মিশ্রণে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সারা বিশ্ব থেকে ফেলোদের নির্বাচন করা হয়। এ ফেলোশিপের কেতাবি নাম ‘মরিস আর গ্রিনবার্গ ওয়ার্ল্ড ফেলোস প্রোগ্রাম’।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় বৈচিত্র্য ও বৈষম্যহীনতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিষ্ঠানটি সক্রিয়ভাবে যোগ্য ব্যক্তিদের ফেলোর জন্য সুযোগ দেয়। লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম, বয়স, অক্ষমতা ভিত্তিতে বৈষম্য করে না ইয়েল।
কারও পেশাগত কর্মজীবন ৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হলে তিনি আবেদনের যোগ্য হবেন। এ সময়ের মধ্য আঞ্চলিক, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক স্তরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করে থাকলে এ ফেলো প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য সুযোগ পেতে পারেন আপনি;
‘ওয়ার্ল্ড ফেলোস প্রোগ্রাম’-এর অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ৩৯ বছর। তবে এ ফেলোশিপে আবেদনের জন্য বয়সের কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই;
আবেদনকারীদের অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য দেশের নাগরিক হতে হবে;
ওয়ার্ল্ড ফেলো প্রোগ্রামে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর আগস্টের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত থাকতে হবে।
ফেলো নির্বাচনে অসাধারণ কৃতিত্ব, স্থানীয়, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইতিবাচক প্রভাব তৈরির প্রতিশ্রুতি, সমালোচনামূলক, সৃজনশীল, উদ্যোক্তা, কৌশলগত চিন্তার অনন্য ক্ষমতা, ইয়েলে পূর্ণ সময়ের বাসস্থান এবং শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দানের প্রতিশ্রুতিসহ নানা প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।
আবেদনের জন্য একটি জীবনবৃত্তান্ত, একটি ব্যক্তিগত বিবৃতি, সুপারিশের তিনটি চিঠি এবং একটি ভিডিও বিবৃতি দিতে হবে। বিস্তারিত নির্দেশাবলি অনলাইন আবেদন পোর্টালে পাওয়া যাবে।
ফেলোরা পাবেন নিউ হ্যাভেনে জীবনযাত্রার ব্যয় কাভার করার জন্য একটি করযোগ্য বৃত্তি;
প্রোগ্রামের সময়ে একটি বসবাসের স্থান;
চিকিৎসা বিমা;
নিজ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াতের টিকিট।
মরিস আর গ্রিনবার্গ ওয়ার্ল্ড ফেলোস প্রোগ্রাম চার মাসের। প্রোগ্রামে সাপ্তাহিক সেমিনার, বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে আলোচনা, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ব্যক্তিগত উন্নয়ন এবং আলোচনা ও প্যানেলে অংশগ্রহণের সুযোগসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম রয়েছে।
আবেদনের শেষ তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০২৩।