ডাড হলো জার্মানির অন্যতম একটি স্কলারশিপ। দ্য জার্মানি একাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিস, যাকে সংক্ষেপে বলা হয় ডাড স্কলারশিপ। মাস্টার্স ও পিএইচডির জন্য এ স্কলারশিপ দেওয়া হয়। এ স্কলারশিপে ১০ থেকে ১৪ মাস মেয়াদি মাস্টার্স বা পিএইচডি করা যায়। এটি প্রথম চালু হয় ১৯২৫ সালে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও এ স্কলারশিপে আবেদন করতে পারেন। এ স্কলারশিপে প্রতিবছর প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থীকে অর্থায়ন করা হয়ে থাকে।
ডিএএডি জার্মানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৃত্তি। জার্মান একাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিসের অর্থায়নে এ বৃত্তি দেওয়া হয়। উন্নয়নশীল দেশের স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারেন। যদিও সব বিষয়ে এ বৃত্তি পাওয়া যায় না।
এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুহাম্মদ আলমগীরের সঙ্গে জার্মান একাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিসের (ডাড) তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাত করে। ডাড পরিচালক কাটজা লাস্চের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের অন্য দুই সদস্য ছিলেন দিল্লিতে অবস্থিত ডাড রিজিওনাল অফিসের কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা অদিতি গোসাভি ও ডাড বাংলাদেশের রিজিওনাল অফিসার মাহমুদুল হাসান সুমন।
কাটজা লাস্চ বলেন, জার্মান একাডেমিক এক্সচেঞ্জ সার্ভিস বিদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে বিভিন্ন জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্থ প্রদান করে থাকে। ইতিমধ্যে একটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম অফার করা হয়েছে। আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের যোগ্য ও আগ্রহী প্রার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তিনি ইউজিসিকে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে অনুরোধ করেন।
যেসব বিষয়ে বৃত্তি পাওয়া যায়
*ইকোনমিক সায়েন্স,
*ব্যবসায় প্রশাসন,
*পলিটিক্যাল ইকোনমিকস,
*ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন,
*ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিলেটেড সায়েন্স,
*গণিত,
*রিজিওনাল প্ল্যানিং,
*কৃষি ও বনবিজ্ঞান,
*পরিবেশবিদ্যা,
*গণস্বাস্থ্য,
*ভেটেরিনারি মেডিসিন,
*সামাজিক বিজ্ঞান,
*শিক্ষা ও আইন,
*গণমাধ্যম ইত্যাদি।
সুযোগ-সুবিধা
জার্মানিতে অন্যান্য স্কলারশিপের তুলনায় ডাড-এর সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি। এ স্কলারশিপের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা যে যে সুযোগ-সুবিধা পান—
*টিউশন ফি ও পরীক্ষার ফি।
*মাসিক ভাতা (পিএইচডি-১২০০ ইউরো, মাস্টার্স-৮৬১ ইউরো)।
*উড়োজাহাজের জন্য টিকিট
*স্বাস্থ্যবিমা
*বাড়িভাড়া এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য মাসিক ভাতার ব্যবস্থা
আবেদনের যোগ্যতা
*আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে অবশ্যই স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে:
*নিজ কর্মক্ষেত্রে ন্যূনতম ২ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে;
*আইইএলটিএসে ন্যূনতম ৬.৫ থাকা জরুরি;
*জার্মান ভাষায় পড়তে চাইলে সে ভাষায় ন্যূনতম বি১ পর্যায়ের দক্ষতা প্রয়োজন হবে;
*প্রার্থীকে উন্নয়নশীল দেশের হতে হবে।
আবেদনপ্রক্রিয়া ও সময়সীমা
আপনাকে প্রথমে ডাড স্কলারশিপের আওতাভুক্ত কোর্স থেকে কোর্স নির্বাচন করে পছন্দ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করে আবেদন করতে হবে। সর্বোচ্চ তিনটি কোর্সে আবেদন করা যায়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করে। যে কেউ যদি নির্বাচিত হন, তাহলে তাদের ডাড স্কলারশিপে আবেদন করতে বলবে। এ বৃত্তির বিস্তারিত জানতে পারবেন এ।