বৃত্তির টাকা পেতে শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি ২০ নভেম্বরের মধ্যে

বৃত্তির টাকা পেতে শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি বা সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে এন্ট্রি-সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের। ২০ নভেম্বরের মধ্যে এ কার্যক্রম শেষ করতে হবে। এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে শিক্ষা অধিদপ্তর।

আদেশে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের রাজস্ব খাতভুক্ত বিভিন্ন শ্রেণিতে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়ে সাধারণ শিক্ষায় অধ্যয়নরত নিয়মিত শিক্ষার্থীদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে ২০ নভেম্বরের মধ্যে এন্ট্রি ও সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলা হলো। বৃত্তি পাওয়া যেসব শিক্ষার্থীর তথ্য আগে এন্ট্রি করা হয়নি, তাদের তথ্যও এমআইএসে এন্ট্রি করতে হবে।

তথ্য এন্ট্রি নিয়ে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর। নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১.
অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন তফসিলভুক্ত যেকোনো ব্যাংকে শিক্ষার্থীর নিজ নামে অথবা ১৮ বছরের কম শিক্ষার্থীদের মা–বাবার সঙ্গে যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব বা স্কুল ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে;
২.
যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব, স্কুল ব্যাংক হিসাব খোলা হলে এমআইএসে শিক্ষার্থীর এন্ট্রি করা হিসাবধারীর নামের স্থলে প্রথমে শিক্ষার্থীর নাম, এরপর অ্যান্ড লিখে শেষে দ্বিতীয় হিসাবধারীর নাম ইংরেজিতে এন্ট্রি করতে হবে;
৩.
শিক্ষার্থীর নাম ও অনলাইন ব্যাংক হিসাবের নাম অভিন্ন হতে হবে। বৃত্তির গেজেটে শিক্ষার্থীর নামের বানান, এমআইএস সফটওয়্যারে শিক্ষার্থীর নামের বানান এবং হিসাবধারীর নামের বানান অভিন্ন হবে। বৃত্তির গেজেটে নামের বানানে হাইফেন (-) থাকলে সফটওয়্যারে শিক্ষার্থীর নামের বানানে হাইফেন দিতে হবে। কিন্তু হিসাবধারীর নামের স্থলে শিক্ষার্থীর নামের বানানে হাইফেনের স্থলে সিঙ্গেল স্পেস দিতে হবে;

৪.
অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর অবশ্যই ১৩-১৭ ডিজিটের মধ্যে হতে হবে এবং সঠিক ও নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে;
৫.
ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, রাউটিং নম্বর এবং শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নম্বর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে;
৬.
বৃত্তির ক্যাটাগরি (মেধা/সাধারণ) সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে;
৭.
ব্যাংক হিসাবটি বর্তমানে সচল থাকতে হবে;

৮.
মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট বা এজেন্ট ব্যাংকের হিসাব নম্বর দেওয়া যাবে না। একাধিক এন্ট্রি হয়ে থাকলে সঠিক এন্ট্রিটি রেখে অবশিষ্টগুলো নিষ্ক্রিয় বা ডিঅ্যাকটিভ করতে হবে।

শিক্ষা অধিদপ্তর বলেছে, শিক্ষার্থীদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে যথাযথভাবে এন্ট্রি হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই দুজন শিক্ষককে দায়িত্ব দিতে হবে। তথ্য এন্ট্রির ক্ষেত্রে ভুল বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রতিষ্ঠানপ্রধান-দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন।