মাদ্রাসা থেকে বৃত্তি পেয়ে সাধারণ ধারায় ভর্তি শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রির নির্দেশ, পাবেন বকেয়াসহ অর্থ

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)
ছবি: সংগৃহীত

বকেয়াসহ বৃত্তির অর্থ পাবেন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। বৃত্তির অর্থ দিতে প্রাথমিক পর্যায়ে চলছে তথ্য পূরণের কাজ। এ নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল/ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নিয়মিত শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে রাজস্ব খাতভুক্ত সব ধরনের বৃত্তির অর্থ জি২পি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবে পাঠানোর কার্যক্রম চলমান।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়ে দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল/ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত বকেয়াসহ বৃত্তির তথ্য ১০ জুলাই থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এসপিএফএমএস (SPFMS) কর্মসূচির MIS Software নিম্নবর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করে এন্ট্রি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধান/ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হলো।

এমআইএস সফটওয়্যারে তথ্য এন্ট্রির ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত নির্দেশাবলি অনুসরণ করতে হবে—

১.
বাংলাদেশের অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন তফসিলভুক্ত যেকোনো ব্যাংকে শিক্ষার্থীর নিজ নামে অথবা ১৮ বছরের কম শিক্ষার্থীদের পিতা/ মাতার সঙ্গে যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব কিংবা স্কুল ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে;

২.
যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব/ ভুল ব্যাংক হিসাব খোলা হলে MIS-এ শিক্ষার্থীর এন্ট্রিকৃত হিসাবধারীর নামের স্থলে প্রথমে শিক্ষার্থীর নাম, এরপর And, শেষে দ্বিতীয় হিসাবধারীর নাম ইংরেজিতে এন্ট্রি করতে হবে;

৩.
শিক্ষার্থীর নাম ও অনলাইন ব্যাংক হিসাবের নাম অভিন্ন হতে হবে;

৪.
বৃত্তির গেজেটে শিক্ষার্থীর নামের বানান, MIS সফটওয়্যারে শিক্ষার্থীর নামের বানান এবং হিসাবধারীর নামের বানান অভিন্ন হবে। বৃত্তির গেজেটে নামের বানানে হাইফেন (-) থাকলে MIS সফটওয়্যারে শিক্ষার্থীর নামের বানানে হাইফেন দিতে হবে। কিন্তু হিসাবধারীর নামের স্থলে শিক্ষার্থীর নামের বানানে হাইফেনের স্থলে Single Space দিতে হবে;

৫.
অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর অবশ্যই ১৩ থেকে ১৭ ডিজিটের মধ্যে হতে হবে এবং সঠিক ও নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে;

৬.
ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, রাউটিং নম্বর এবং শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নম্বর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে;

৭.
ব্যাংক হিসাবটি বর্তমানে সচল থাকতে হবে;

৮.
শুধু সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (সরকারি/বেসরকারি স্কুল, কলেজ, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল/ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য সাধারণ প্রতিষ্ঠান) অধ্যয়নরত মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য বর্ণিত প্রতিষ্ঠান থেকে MIS সফটওয়্যারে এন্ট্রি করতে হবে;

৯.
শিক্ষার্থীদের তথ্য MIS সফটওয়্যারে যথাযথভাবে এন্ট্রি হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই দুজন শিক্ষককে দায়িত্ব দিতে হবে;

১০.
তথ্য প্রেরণের ক্ষেত্রে ভুল বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রতিষ্ঠানপ্রধান/ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন;
তথ্য পূরণ/সংশোধনের জন্য লিংক DSHE Scholarship MIS URL করতে হবে।