কমনওয়েলথ দিচ্ছে বৃত্তি (স্কলারশিপ) সুবিধা। সাধারণত, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপে মাস্টার্সে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দেয় কমনওয়েলথ বৃত্তি। মাস্টার্সের জন্য কমনওয়েলথের এই বৃত্তির যাবতীয় অর্থ দেয় ইউকে ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
২০২২ সালের জন্য কমনওয়েলথ বৃত্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিটি দেশের জন্য আলাদা মনোনীত প্রতিষ্ঠান আছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিবছর ইউজিসি কমনওয়েলথ স্কলারশিপের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরখাস্ত আহ্বান করে। এ বছরও ‘কমনওয়েলথ স্কলারশিপস ইন দ্য ইউনাইটেড কিংডম ২০২২’-এ দরখাস্তের আহ্বান করেছে ইউজিসি। আগ্রহী প্রার্থীরা ইউজিসির ওয়েবসাইট (http://www.ugc.gov.bd/) থেকে বৃত্তিসংক্রান্ত সার্কুলারসহ সব তথ্য জানতে পারবেন।
১৪ অক্টোবরের মধ্যে ইউজিসি বরাবর আবেদন করতে হবে আগ্রহী প্রার্থীদের। কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে প্রার্থীরা চূড়ান্তভাবে এ বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
১.
স্নাতকোত্তর বা পিএইচডির সম্পূর্ণ টিউশন ফি বহন করবে কমনওয়েলথ কমিশন।
২.
যুক্তরাজ্যে যাওয়া-আসার বিমানের টিকিট।
৩.
লন্ডনের বাইরে থাকলে মাসিক ভাতাও মিলবে।
৪.
মাসিক ভাতার বাইরেও এককালীন অর্থ পাওয়া যাবে।
৫.
‘স্টাডি ট্রাভেল গ্র্যান্ট’ও ‘থিসিস গ্র্যান্ট’ হিসেবে অর্থ মিলবে এ বৃত্তি পেলে।
১৯৫৯ সালে যাত্রা শুরু করে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কমিশন (সিএসসি)। এখন পর্যন্ত কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ পেয়েছেন ৩৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি দেশের তরুণ শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জন্য দেওয়া হয় ৮০০টি বৃত্তি (স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ও স্প্লিট-সাইট স্টাডি)। কমনওয়েলথ কমিশন সচিবালয়, লন্ডনের মাধ্যমে আর্থিক অনুদান দেয় যুক্তরাজ্য সরকারের ‘আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ বা ডিএফআইডি’।
www.cscuk.dfid.gov.uk-তে ঢুঁ মারলে কমনওয়েলথ বৃত্তিসংক্রান্ত বেশির ভাগ তথ্য পাওয়া যাবে। এটি এই বৃত্তির অফিশিয়াল ওয়েবপেজ।
www.ugc.gov.bd বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ইউজিসি প্রতিবছর কমনওয়েলথ স্কলারশিপের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরখাস্ত আহ্বান করে। যে কেউ ইউজিসির ওয়েবসাইট থেকে বৃত্তিসংক্রান্ত সার্কুলারসহ বিস্তারিত জানতে পারবেন।
১.
কমনওয়েলথভুক্ত যেকোনো দেশের নাগরিক এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে মেধাবী তরুণ ও পেশাজীবীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এ বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে।
১.
উন্মুক্তর ক্ষেত্রে ইউজিসির ওয়েবসাইট থেকে আবেদনের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে এসএসসি, এইচএসসি, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের (যদি থাকে) গ্রুপ/বিষয়, পাসের বছর, মোট নম্বর/জিপিএ/সিজিপিএ ও প্রাপ্ত নম্বরের শতকরা হার উল্লেখ করে সত্যায়িত সনদ, ট্রান্সক্রিপ্টসহ জমা দিতে হবে। এ ছাড়া আবেদনকারীর যদি কোনো প্রকাশনা থাকে, তার বর্ণনা, আইইএলটিএস স্কোর (যদি থাকে) ও এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দরখাস্তের সঙ্গে সংযুক্ত করে এ ঠিকানায় পাঠাতে হবে: বরাবর, সচিব, উচ্চশিক্ষা কমিশন, আগারগাঁও প্রশাসনিক ভবন এলাকা, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭। এ বছর পাঠাতে হবে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে।
অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ দরখাস্ত বাতিল হিসেবে গণ্য করবে ইউজিসি। তাই আবেদনের ক্ষেত্রে আন্তরিক হতে হবে।