শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী

বুয়েটে শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) শিক্ষার পরিবেশ যাতে কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার আয়োজিত এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি এ সেমিনারের আয়োজন করে।

ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর প্রতিবাদসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আলোচনাটি সামনে এসেছে, সেটি হলো ছাত্রসংগঠন করা নিয়ে কিছু শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে কিছু দাবিদাওয়া উপস্থাপন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে কিছু সিদ্ধান্ত দিয়েছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় আইন দ্বারা একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সেখানকার উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও অন্য শিক্ষকেরা ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, কাজ করছেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন ‘আমরা সকল পক্ষকে অনুরোধ করব, সেখানে বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়। বিশৃঙ্খলা ও শিক্ষার পরিবেশ যাতে কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয়।’

বুয়েটের শিক্ষার্থীরা আজ শনিবার সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা বিক্ষোভ করেছেন

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তবুদ্ধির চর্চার জায়গায় যদি কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, বাংলাদেশের সংবিধানের চার মূলনীতির আদর্শের জায়গায় যদি কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থী টার্গেট করে কোনো রকমের অপরাজনীতি চালাতে চায় বা প্রগতিশীল মুক্তবুদ্ধির চিন্তার কোনো সুযোগ না রাখার চেষ্টা করেন, সেটা অবশ্যই ভালো কিছু নয়। কারা এ ধরনের মনোবৃত্তি লালন করছে, কারা এগুলোকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, কিছুদিন আগেও অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, কিছু জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী গোপনে সেখানে (বুয়েট) কার্যক্রম চালায়। বিষয়টি নিয়েও গভীরভাবে তদন্ত করবেন। তবে সব পক্ষের প্রতি তাঁর আহ্বান, শিক্ষার পরিবেশ যাতে কোনোভাবেই বিনষ্ট না হয়। আর ব্যক্তি পর্যায়ে কেউ যদি এমন মানসিকতা রাখে যে সেটা মনে হয় মৌলবাদী বা জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রমকে প্রশ্রয় দেওয়ার মতো হচ্ছে, সেটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে, প্রতিহত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যারা আছে, যারা তদন্ত করছে, তারাও সেগুলো নিয়ে কাজ করবে। সেটি শুধু একটি প্রতিষ্ঠানেই নয়, সব প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য।

এদিকে আজকের সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলা একাডেমিক সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী। সমিতির সভাপতি শাহেদুল খবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সমিতির সহসভাপতি মামুন উল হক, সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন মোল্যা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপুল চন্দ্র সরকার প্রমুখ।