যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ২০২৩ সালের এইচএসসির পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার যশোর শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয় এই ফল। এ বছর যশোর বোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ৯ হাজার ৬৪২ জন শিক্ষার্থী। যাঁদের মধ্যে পাস করেছিলেন ৭৬ হাজার ৬২১ জন।
বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং বোর্ড প্রদত্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ লাখ ৯ হাজার ৬৪২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৫ হাজার ৩৯৪ জন পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছিলেন। যার মধ্যে ১৩৯ শিক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে, আর বাকি ৬৫ হাজার ২৫৬ জনের ফল আগেরটা বলবৎ আছে।
ফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীদের সবার নতুন ফল আগের থেকে ভালো হয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘দেখুন, কোনো নিরীক্ষাই তো আর শতভাগ সঠিক করা যায় না, দেখা যায় কিছু ভুলত্রুটি থেকে যায়। ফলে পুনর্নিরীক্ষণের সময় কিছু কিছু সংশোধনের সুযোগ থাকে। এখানেও সেটাই হয়েছে। আর ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণের যে নিতিমালা আমরা অনুসরণ করেছি, সে অনুযায়ী শুধু যেসব শিক্ষার্থীর পুনর্নিরীক্ষণে ফল আগের তুলনায় ভালো হয়েছে সেগুলো বিবেচনা করা হয়েছে, বাকিদেরটা অপরিবর্তিত আছে। তাই পরিবর্তন হওয়া ফলের সবাই ভালো করেছে।’
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে ১৩৯ জনের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে, তাঁদের মধ্যে নতুন করে পাস করেছেন ৩৮ জন, যাদের মধ্যে এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীও আছেন। নতুন করে এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪১। আবার অনেক শিক্ষার্থীর ফেল থেকে পাস কিংবা সাধারণ গ্রেড থেকে এ প্লাস পেয়েও তাঁদের জিপিএ অপরিবর্তিত রয়েছে। এমন শিক্ষার্থী প্রায় ১৮ জন। ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন দুজন শিক্ষার্থী।
আগের ফলাফলে ফেল কিংবা জিপিএ-৩ অথবা ৩.৫-এর নিচে থাকায় যাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করতে পারতেন না, পুনর্নিরীক্ষণ করায় নতুন ফলাফলে জিপিএ–৩ অথবা ৩.৫-এর ওপরে আসায় নতুন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সুযোগ পাবেন প্রায় ৩৭ জন শিক্ষার্থী। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য যেহেতু এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর সমন্বয় করতে হয়, সে ক্ষেত্রে এই সংখ্যা কিছু কম হতে পারে।