পাঁচ বছর বন্ধ রাখার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন বরাদ্দ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্ধারিত হলের শূন্য আসনের বিপরীতে অধ্যয়নরত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ নেওয়ার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় সিট বরাদ্দ কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাঁদের পরিচয়পত্রে উল্লেখ করা হল থেকে আবেদনের ফরম সংগ্রহ করে জমা দিতে পারবেন। আবেদন ফরমের জন্য শিক্ষার্থীদের ১০০ টাকা করে দিতে হবে। যাঁরা সাময়িক অনুমতি নিয়ে হলে থাকছেন, তাঁদেরও আবেদন করতে হবে। এ বিজ্ঞপ্তির আসন বরাদ্দের কাজ শুরু হওয়ার পর আগের বরাদ্দ বাতিল হবে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে সব আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক শিক্ষক, রেজিস্ট্রার ও সহ-উপাচার্যকে নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন উপাচার্য শিরীণ আখতার। সভার একাধিক সদস্য জানান, সভার মূল আলোচনার বিষয় ছিল আবাসিক হলের আসন বরাদ্দ দেওয়া। সভায় উপস্থিত প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের মতামত নিয়ে উপাচার্য প্রক্টরিয়াল বডিকে আসন বরাদ্দের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন।
প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, হলের আসন বরাদ্দের কাজ আগে থেকেই প্রক্রিয়াধীন ছিল। মঙ্গলবার শুধু মতবিনিময় সভা হয়েছে। বুধবার বিজ্ঞপ্তির চিঠি হল কার্যালয়ে পৌঁছাবে। পরে হল প্রাধ্যক্ষরা আসন বরাদ্দের কাজ শুরু করবেন।
হলের আসন বরাদ্দের প্রক্রিয়া তিনটি ধাপে হয়। প্রথমে শিক্ষার্থীরা হল কার্যালয় থেকে ফরম সংগ্রহ করে আবেদন করেন। পরে হল প্রাধ্যক্ষ মৌখিক পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান করেন। এরপর যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, স্নাতকে প্রতিবছর ৪ হাজার ৯২৬ শিক্ষার্থী ভর্তি হন। এর মধ্যে ছাত্র গড়ে ৬০ শতাংশ। বর্তমানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ২৭ হাজার ৫৫০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৭ হাজার ৪৯৪ জন ও ছাত্রী ১০ হাজার ৪৬ জন। অন্যদিকে বর্তমানে আবাসিক হল চালু ১১টি। এর মধ্যে ছাত্রদের জন্য সাতটি ও ছাত্রীদের জন্য চারটি হল রয়েছে। এসব হলে মোট আসন ৫ হাজার ২৪টি। এর মধ্যে ছাত্রীদের ২ হাজার ২৭০টি ও ছাত্রদের ২ হাজার ৭৫৪টি আসন রয়েছে।