শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থার জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বিকল্প নেই। পাশাপাশি শিক্ষকদের সুযোগ–সুবিধা ও মর্যাদা বাড়াতে হবে। এ ধরনের বিভিন্ন দাবির মধ্যে দিয়ে আজ বুধবার দেশে পালিত হয়েছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনে পৃথক কর্মসূচি পালন করেছে।
বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘শিক্ষকদের মর্যাদা: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে শিক্ষার ভিত রচনা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষকদের মর্যাদার ব্যাপারে সচেষ্ট রয়েছেন। তিনি শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যার সুফল এখন রাষ্ট্র পাচ্ছে।
এ সময় লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন সভার আয়োজক সংগঠন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলম। তিনি সরকারি বেসরকারি বৈষম্য দূর করতে সমগ্র শিক্ষাকে জাতীয়করণের আওতায় আনা এবং শিক্ষকদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানান।
স্বাশিপ সভাপতি আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মশিউর রহমান প্রমুখ।
এদিকে শিক্ষক দিবসে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) ও বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদ (বিপিসি) রাজধানীর মিরপুরে সংগঠনের কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এ সময় অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান বলেন, সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি সরকারিভাবে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদ্যাপন ও ইউনেসকো, আইএলও শিক্ষক সনদ ১৯৬৬ বাস্তবায়নের দাবি জানান।
বাকশিস সভাপতি ইসহাক হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় শিক্ষকনেতাদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন রহিমা খন্দকার, মুজিবুর রহমান হাওলাদার, এ কে এম আবদুল্লাহ, ইলিম মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।