ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘বায়োমেকানিক্স অব মেন্টাল হেলথ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন আমেরিকা ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. তাহের আবু সাইফ
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘বায়োমেকানিক্স অব মেন্টাল হেলথ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন আমেরিকা ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. তাহের আবু সাইফ

ইউআইইউর সেমিনারে অধ্যাপক তাহের সাইফ

নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে ৬৫ বছর বয়সেও মস্তিষ্কের বৃদ্ধি সম্ভব

মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে নিয়মিত হাঁটাচলা ও ব্যায়াম অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি পরিমিত বিশ্রাম ও ঘুমের মাধ্যমেও ব্রেইনের নতুন কোষ সৃষ্টিতে শরীরকে সহায়তা করা যায় বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকা ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. তাহের আবু সাইফ। ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে ‘বায়োমেকানিক্স অব মেন্টাল হেলথ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ইউআইইউ ক্যাম্পাসে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক মো. তাহের আবু সাইফ যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর গবেষণার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে গুণী এই বিজ্ঞানী আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশে উচ্চতর গবেষণার জন্য একটি মাইক্রো-ইলেক্ট্রনিক্স ল্যাব স্থাপনের বিষয়ে। সে জন্য তিনি বুয়েটসহ দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একসঙ্গে কাজের আহ্বান জানান।

মূল বক্তব্যে মো. তাহের বলেন, মানুষের বয়স বৃদ্ধির পরও, এমনকি বয়স ৬৫ বছর পার হলেও সঠিক এবং পরিমিত ব্যায়াম, হাঁটাচলা ও পরিশ্রমের ফলে তার মস্তিষ্কের কোষগুলোর কার্যকারিতা ধরে রাখা সম্ভব। বয়স ৬৫ বছর পার হলেও নিয়মিত হাঁটাচলা বা ব্যায়ামের মাধ্যমে মস্তিষ্কের নতুন কোষ তৈরি হয় মানব শরীরে। এর ফলে পড়াশোনা, চিন্তা ও গবেষণায় আরও বেশি কাজের সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বয়স কোনো বাধা নয় বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণার বিষয়ে অধ্যাপক মো. তাহের আবু সাইফ বলেন, এখানে অনেক বেশি কাজের সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বুয়েটের উপাচার্য এ বি এম বদরুজ্জামান তার শিক্ষা এবং গবেষণার অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরেন। এ সময় তিনি মানসম্মত উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণায় করনীয়গুলো বিষয়ে জোর দেন। একই সঙ্গে তিনি শিক্ষা এবং গবেষণায় ইউআইইউর সঙ্গে আরও বেশি কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইউআইইউ ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্স রিসার্চের (আইএআর) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ইমেরিটাস এম রিজওয়ান খান। এ সময় আরও বক্তব্য দেন ইউআইইউ স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন অধ্যাপক হাসান সারওয়ার, ইউআইইউ সিএসআইআরএসের পরিচালক এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. মুজিবুর রহমান। এ ছাড়া সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ইউআইইউর ট্রেজারার মোহাম্মদ আবদুল মোকাদ্দেম ও রেজিস্ট্রার মো. জুলফিকার রহমান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইউআইইউ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ও প্রক্টর রুমানা আফরিন এবং ধন্যবাদ জানান সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ইউআইইউর বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও আলোচনায় শিক্ষাবিদ, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, গবেষক  অন্য বিশিষ্ট অতিথিরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।