দিল্লির বায়ুদূষণ সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়, দশম ও দ্বাদশ ছাড়া সবার ক্লাস অনলাইনে

ওপরের ছবিটি ২৬ সেপ্টেম্বরে। নিচেরটি আজ সকালের
 ছবি: এএফপি

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আজ সোমবার বায়ুর মান এ বছর সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, দূষণের কথা বিবেচনা করে দিল্লি সরকার দশম ও দ্বাদশ ছাড়া অন্য সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আজ থেকে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। স্কুলের প্রধানদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এসব শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস করবে। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য শারীরিক উপস্থিতিতে ক্লাস আগের মতো চলতে থাকবে।

দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২৪ ঘণ্টার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) মান হয়েছে ৪৮৪। এই মান ‘চরম বিপজ্জনক’ শ্রেণির। আইকিউএয়ারের লাইভ র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে আজ শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। শহরের বায়ুতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ধূলিকণার (পিএম ২.৫) উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত মাত্রার ১৩০ গুণ বেশি পাওয়া গেছে।

দিল্লি জামে মসজিদের ওপরের ছবিটি ৮ অক্টোবরের। নিচেরটি আজ সকালের

কয়েক সপ্তাহ ধরে দিল্লিতে দূষণের মাত্রা বাড়তে থাকায় আজ থেকে দিল্লি এনসিআরে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (জিআরএপি) স্টেজ–৪ জারি করেছে। দিল্লির বায়ুর গুণগত মান সূচক (একিউআই) অত্যন্ত গুরুতর বা চরম বিপজ্জনক ক্যাটাগরিতে নেমে এসেছে। জিআরএপির স্টেজ-৪–এর পদক্ষেপগুলোর মধ্যে আছে দিল্লিতে প্রয়োজনীয় পণ্য বহনকারী ও প্রয়োজনীয় পরিষেবা সরবরাহকারী ট্রাক ছাড়া অন্য কোনো ট্রাক প্রবেশ বন্ধ করা এবং নির্মাণ ও উচ্ছেদ অভিযান নিষিদ্ধ করা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ধূলিকণা, গাড়ির ধোঁয়া ও আশপাশের রাজ্যগুলোয় ফসল কাটার পর অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর ধোঁয়া আটকে থাকে। এতে ধোঁয়াশার (স্মগ) সৃষ্টি হয়।

আজ দিল্লি ও চণ্ডীগড় শহরে স্বাভাবিক দৃষ্টিসীমা মাত্র ১০০ মিটারে নেমে আসে। তবে কর্মকর্তারা জানান, কিছুটা বিলম্ব সত্ত্বেও বিমান ও ট্রেন চলাচল অব্যাহত আছে। দেশটির উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থানে ‘ঘন থেকে অতি ঘন কুয়াশা’র পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক পরে চলাচল করছেন সাধারণ জনগণ।