আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য দেশ হিসেবে খ্যাতি রয়েছে কানাডার। কানাডীয় শিখ নেতা হত্যাকান্ডের ফলে ভারত ও কানাডার মধ্য সম্প্রতি উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তবে কোনো দেশের মধ্যে এমন উত্তেজনা তৈরি হলে শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যায় পড়তে পারেন। এমন ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। এর জন্য কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য তুলে ধরেছেন দ্যা ইকোনমিক টাইমস। শিক্ষার্থীদের জন্য এটি তুলে ধরা হলো—
১.
জরুরি যোগাযোগের তালিকা রাখুন: নিজের মানসিক শান্তির জন্য কানাডায় থাকার সময়ে জরুরি যোগাযোগের একটি তালিকা নিজের থাকা অত্যাবশ্যক। ফোনে নিম্নলিখিত নম্বরগুলো টুকে রাখতে পারেন।
•পুলিশ: জরুরি পরিস্থিতিতে যেমন চুরি, দুর্ঘটনা বা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে, পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ৯১১ ডায়াল করুন।
•ফায়ার সার্ভিস: অগ্নি-সম্পর্কিত জরুরি অবস্থায় ৯১১ ডায়াল করুন।
•অ্যাম্বুলেন্স: জরুরি পরিস্থিতিতে বা হাসপাতালে পরিবহনের প্রয়োজন হলে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ৯১১ নম্বরে কল করুন।
•ক্যাম্পাস নিরাপত্তা: আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সম্ভবত নিজস্ব ক্যাম্পাস নিরাপত্তা পরিষেবা আছে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার জন্য জরুরি লাইনসহ তাদের যোগাযোগের তথ্য হাতে রাখুন।
•ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট সার্ভিসেস: আপনার প্রতিষ্ঠানের ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অফিস ভিসাসংক্রান্ত সমস্যা, আবাসন সমস্যা এবং সাংস্কৃতিক সমন্বয়ের মতো বিষয়ে সাহায্য করতে পারে। তাদের যোগাযোগের তথ্য সহজেই পাওয়া যাবে, এমন নম্বর রাখুন।
•অটোয়াতে বাংলাদেশ হাইকমিশন: গুরুতর আইনি বা কনস্যুলার সমস্যার ক্ষেত্রে অটোয়াতে বাংলাদেশি হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তারা নানা বিষয়ে সহায়তা প্রদান করতে পারে।
• কনস্যুলেট জেনারেল: আপনার অবস্থানের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশি কনস্যুলেট জেনারেলে সুবিধা পেতে পারেন। তারা পাসপোর্ট নবায়ন এবং জরুরি ভ্রমণ নথিসহ বিভিন্ন কনস্যুলার পরিষেবাগুলোতে সহায়তা করতে পারে।
•বিমা প্রদানকারীর নম্বর: আপনার যদি স্বাস্থ্য বা ভ্রমণ বিমা থাকে, তাহলে নিশ্চিত করুন যে আপনার বিমা প্রদানকারীর যোগাযোগের তথ্য আছে। চিকিৎসা, জরুরি বা বিমাসম্পর্কিত অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এটি প্রয়োজন হবে।
• হাসপাতালের তথ্য: নিকটস্থ হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলোর অবস্থান এবং যোগাযোগের বিশদ তথ্য জানুন, যাতে আপনি দ্রুত চিকিৎসার জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে চিকিৎসা সুবিধাগুলো পেতে পারেন।
২.
ক্রাইসিস হেল্পলাইন
কানাডায় বেশ কয়েকটি ক্রাইসিস হেল্পলাইন আছে, যা মানসিক স্বাস্থ্যসংকট, পারিবারিক সহিংসতাসহ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সহায়তা প্রদান করে। এ হেল্পলাইনগুলোর মধ্যে কয়েকটি নিচে দেওয়া হলো—
• মানসিক স্বাস্থ্য সংকট লাইন: ১–৮৮৮–৪৯৪–৩৮৮৮ (1-888-494-3888)
• নারী লাঞ্ছনার হেল্পলাইন: ১–৮৬৬–৮৬৩–০৫১১ (1-866-863-0511)
• ড্রাগ এবং অ্যালকোহল হেল্পলাইন: ১–৮০০–৫৬৫–৮৬০৩ (1-800-565-8603)
৩.
পাবলিক ট্রান্সপোর্টেশন: আপনি যদি নিয়মিত পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার কাছে বাস, সাবওয়ে বা ট্যাক্সি পরিষেবার মতো স্থানীয় পরিবহন পরিষেবাগুলোর যোগাযোগের তথ্য থাকতে হবে।
৪.
বিশ্বস্ত বন্ধুর নম্বর: আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে এবং বাইরে উভয় জায়গার বিশ্বস্ত বন্ধু এবং পরিচিতিজনের নম্বর ও একটি তালিকা রাখুন। তারা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সহায়তা করতে পারেন।
৫.
পরবাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: যে ক্ষেত্রে আপনি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সম্মুখীন হলে যদি আপনার দেশের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়, বাংলাদেশের পরবাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্দেশিকা এবং সহায়তা প্রদান করতে পারে।