বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত জাল সনদধারী শিক্ষকদের বেতন স্থায়ীভাবে বন্ধ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে সাতটি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
মাউশির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষক বা কর্মচারীর জাল সনদের সত্যতা যাচাই করে তথ্য প্রেরণ করা হয়েছে এবং উক্ত পত্রে জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে মোট সাতটি বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে এ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক যথাযথ প্রক্রিয়ায় কতিপয় ইনডেক্সধারী শিক্ষকের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত (stop payment) করা হয়েছে। তালিকায় বর্ণিত এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত উপরোক্ত সাতটি বিষয়ের মধ্যে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তার দফাওয়ারি জবাব ১০ (দশ) কর্মদিবসের মধ্যে এ দপ্তরে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাত দফা কার্যক্রম—
১. জাল সনদধারী শিক্ষক বা কর্মচারীদের এমপিও বন্ধ ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করা;
২. অবৈধভাবে গ্রহণকৃত বেতন–ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ;
৩. যাঁরা অবসরে গেছেন, তাঁদের অবসরের সুবিধাপ্রাপ্তি বাতিল করা;
৪. যাঁরা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন, তাঁদের আপত্তির টাকা অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করা;
৫. বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাল সনদধারী শিক্ষক বা কর্মচারীদের অবসরের ভাতা বা কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতা বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাল সনদধারীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা;
৬. জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধান কর্তৃক ফৌজদারি অপরাধের মামলা দায়ের ও
৭. জাল সনদধারীদের নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
শিক্ষকদের তালিকা দেখুন এখানে।