ভারতের পশ্চিমঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। এর মধ্যে স্কুলের গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে। রাজ্যের দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা ছাড়া সব জেলার স্কুলের ছুটি এগিয়ে আনা হলো। ২২ এপ্রিল থেকে ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্যটির শিক্ষা দপ্তর। এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।
দেশটির গণমাধ্যমে হিন্দোস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির কারণে আজ বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২২ এপ্রিল থেকে রাজ্যচালিত স্কুলগুলোর জন্য গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণা করেছে। এ ছুটি আগামী ৫ মে থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। এক সরকারি আদেশে বলা হয়েছে, ‘...স্কুলগুলোতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি ২২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। রাজ্যর দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার পাহাড়ি এলাকার স্কুলগুলো এ ঘোষণার বাইরে থাকবে। এই দুই জেলায় বিদ্যমান একাডেমিক সময়সূচি পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।’
গত মঙ্গলবার ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য এলাকার প্রধানত শুষ্ক থাকবে আরও কয়েক দিন আর পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিমী বায়ু বয়ে যেতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার পানাগড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড করার একদিন পরে রাজ্য সরকার এ ঘোষণা দিল। যদিও ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) বলেছে, রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলো আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে।
এদিকে বেসরকারি স্কুলগুলোকেও ২২ তারিখ থেকে গরমের ছুটি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। অতিরিক্ত ছুটির জন্য যে ক্ষতি হবে তার জন্য অতিরিক্ত ক্লাস করানোর জন্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর।
ছুটির দিনক্ষণ ঘোষণা হলেও স্কুল কবে খুলবে, তা বলা হয়নি। কবে স্কুল খুলবে, তা অবস্থা বুঝে জানাবে রাজ্য সরকার। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে আগামী সপ্তাহে আগামী কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। এ আবহে তীব্র গরমের কারণে স্কুলে আসতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তাই গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছে।