জাপান কিবো রোবোটিকস প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ধাপে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের উচ্চমাধ্যমিকের তিন শিক্ষার্থী। তাঁরা হলেন আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, ফারহান আহমেদ ও বদরুদ্দোজা কাইফ। ফারহান আহমদে ও বদরুদ্দোজা কাইফ ঢাকা নটর ডেম কলেজ থেকে এবং আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ঢাকা সিটি কলেজ থেকে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন।
গত ২১ অক্টোবর জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির এ আয়োজনে তিনজনের দলটি টিম প্যারাগনে সফলতা অর্জন করে। এর আগে বাংলাদেশে এ প্রতিযোগিতার প্রাথমিক ধাপ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রাথমিক ধাপে দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মোট ৭২টি দলের মধ্যে টিম প্যারাগন প্রথম স্থান অর্জন করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে স্টেমএক্স-৩৬৫।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে স্পেস স্টেশনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য ফ্রি-ফ্লাইং রোবট (অ্যাস্ট্রোবি এবং ইন-বল) নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা রোমাঞ্চকর। ছোটবেলা থেকেই মহাকাশ-সম্পর্কিত বিষয়ে জানার আগ্রহ ছিল। বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখতে পেতাম নভোচারীরা মহাকাশে যেতেন বিভিন্ন গবেষণার জন্য। তখন তাঁদের মতো মহাকাশে যেতে ইচ্ছা হতো। মহাকাশে আমাদের তৈরি প্রোগ্রাম রোবট নিয়ন্ত্রণ করেছে ভাবলেই অবাক লাগে। স্টেমএক্স-৩৬৫-এর সহায়তায় এবং আমাদের দলীয় পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা এ সফলতা পেয়েছি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।’
নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানী ও স্টেমএক্স-৩৬৫-এর প্রতিষ্ঠাতা মিজানুল হক চৌধুরী বলেন, ‘২০২১ সাল থেকে বাংলাদেশ এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে এবং প্রতিবারই সফলতা পাচ্ছে। তাদের প্রতিযোগিতায় ভালো করার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করছে স্টেমএক্স-৩৬৫। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করেছে। আশা করি সবার সহযোগিতায় আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে এবং নিজ দেশের জন্য আরও গৌরব নিয়ে আসবে।’
উল্লেখ্য, এ প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের তিনটি দল।