গণিতের ভয়ে আক্রান্ত বিশ্বের অসংখ্য শিক্ষার্থী। ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট ৩৪টি দেশে জরিপ চালিয়ে দেখেছে, ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থী গণিত নিয়ে ভীষণ উদ্বেগে থাকে। ৬০ শতাংশ গণিতের ক্লাস করতেই উদ্বেগে ভোগে। সাধারণত শিশুদের মধ্যে গণিত নিয়ে ভীতির হার তুলনামূলক বেশি হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও প্রাপ্তবয়স্করাও গণিত ভীতিতে থাকেন। গণিতের প্রতি ভয়কে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ম্যাথমেটিকস এনজাইটি বা ম্যাথেফোবিয়া। নানাজন নানাভাবে এই ভয়কে জয় করেন। কোন সময়ে গণিত চর্চা করলে ভালো নম্বর পাওয়া যায়, তা নিচে তুলে ধরা হল—
বেশির ভাগ মানুষই সকালে গণিতচর্চা করতে পছন্দ করে। ভাবা হয়, এ সময় ফ্রেশ মাইন্ডে নতুন উদ্যোমে চর্চা শুরু করা যায়। এ ছাড়া এমন সময় গণিতচর্চা করার উপদেশ দেওয়া হয়, যখন কেউ বিরক্ত করতে পারবে না এবং মনোযোগ ব্যাহত হবে না। গবেষণায় সকাল ও বিকেল এই দুই সময়ের তুলনা করে দেখা গেছে, সকালে গণিতচর্চা ভালো হয়। যারা সকালে গণিত ক্লাস করে, তারা বিকেলে ক্লাস করা শিক্ষার্থীদের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি নম্বর পায়।
সময় কী পড়াশোনায় প্রভাব ফেলে—এর উত্তরে শিক্ষাবিষয়ক গবেষকেরা বলছেন, সহজ কিছু উপায়ে পড়ার সময়টা শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কের ওপর প্রভার ফেলে। সকালবেলা শিক্ষার্থীরা বেশি সতর্ক এবং মনোযোগী থাকে। এ সময় স্পৃহাও (কর্মশক্তি) বেশি থাকে শিক্ষার্থীদের। বিকেলের দিকে স্পৃহাশক্তি কমে যাওয়ায় পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার অনেক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সন্ধ্যায় সবচেয়ে বেশি সৃজনশীল এবং সমস্যা সমাধানে মনোযোগী হতে পারে।
পড়াশোনার সবচেয়ে ভালো সময় আসলে নির্ভর করে শিক্ষার্থীর নিজের ওপর। সবচেয়ে ভালো সময় বলে আসলে কিছু নেই। ব্যক্তিভেদে কোন সময়ে সে সবচেয়ে বেশি পড়ায় মনোযোগী থাকে, তার ওপর নির্ভর করে আত্মস্থ করার ব্যাপারটি। পড়াশোনার আদর্শ সময় চিহ্নিত করতে পারলে সর্বোচ্চ ফলাফল ভালো করা সম্ভব।