স্কুলের (প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়) শ্রেণিকক্ষে মুঠোফোন ব্যবহার বন্ধে নতুন শিক্ষা আইনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন রাশিয়ার আইনপ্রণেতারা। আগামী বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে আইনটি কার্যকর হবে।
দেশটির গণমাধ্যম মস্কো টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, স্কুলের শ্রেণিকক্ষে মুঠোফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ–সংক্রান্ত একটি আইনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন আইনপ্রণেতারা। গত বুধবার দুমায় এ ভোটাভুটি হয়। দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যদের যুক্তি এ আইন শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করবে।
রাশিয়ার নিম্নকক্ষ দুমার স্পিকার ব্যাচেস্লাভ ভলোদিন বলেছেন, ‘জরুরি অবস্থা’ ছাড়া শ্রেণিকক্ষে আর মুঠোফোনের অনুমতি দেওয়া হবে না। শিক্ষাসংক্রান্ত আইনের এ সংশোধনী দেশটির উচ্চকক্ষ ফেডারেশন কাউন্সিল এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনুমোদন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে স্পিকার ভলোদিন লিখেছেন, ‘এ আইনকে সমর্থনের জন্য অভিভাবক ও শিক্ষকেরা আমাদের অনেক দিন ধরেই বলে আসছিলেন। এ সিদ্ধান্ত আমাদের বাচ্চাদের শিক্ষার মান উন্নত করবে।’
এর আগে নেদারল্যান্ডস ও নিউজিল্যান্ড একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। রাশিয়ার স্কুলগুলো এ বিষয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে আরও বিশদভাবে আলোচনা করবে। শিক্ষা আইনটিতে বলা হয়েছে, স্কুলের পাঠ কার্যক্রমে পুনরায় শ্রম দক্ষতার বিষয়টি বাধ্যতামূলকভাবে যুক্ত করা হবে। এর মধ্য দিয়ে বাধ্যতামূলক পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে সোভিয়েত যুগের ওয়ার্কশপ ক্লাসের প্রত্যাবর্তন ঘটবে বা অন্তর্ভুক্ত হবে শিক্ষাক্রমে।
দুমায় ভোটাভুটির ফলে শিক্ষার্থীরা স্কুল চলাকালে এখন থেকে আর মুঠোফোন ব্যবহার করতে পারবে না। যোগাযোগের জন্য কিছু শিক্ষার্থী তাদের মুঠোফোনের ওপর ব্যাপক নির্ভরশীল হওয়ায় এ আইন সমস্যার কারণ হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সতর্কতার সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করতে হবে বলে মস্কো টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ছাড়া অভিভাবকদেরও বিকল্প যোগাযোগব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।