ক্যাডার–বৈষম্য, পদোন্নতিসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানসহ বিভিন্ন দাবিতে মঙ্গলবার থেকে টানা তিন দিনের ‘সর্বাত্মক কর্মবিরতি’ শুরু করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। ঢাকা কলেজ ইউনিট, ঢাকা কলেজ, ১০ অক্টোবর
ক্যাডার–বৈষম্য, পদোন্নতিসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানসহ বিভিন্ন দাবিতে মঙ্গলবার থেকে টানা তিন দিনের ‘সর্বাত্মক কর্মবিরতি’ শুরু করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা।  ঢাকা কলেজ ইউনিট, ঢাকা কলেজ, ১০ অক্টোবর

দাবি আদায়ে তিন দিনের কর্মবিরতি শুরু করেছেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা

ক্যাডার–বৈষম্য, পদোন্নতিসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ মঙ্গলবার থেকে টানা তিন দিনের ‘সর্বাত্মক কর্মবিরতি’ শুরু করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ডাকে দেশের সরকারি কলেজ, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), শিক্ষা বোর্ডসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোয় এ কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবীর চৌধুরী আজ সকাল ১০টার পর প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা সারা দেশে কর্মবিরতি পালনের খবর পাচ্ছেন। কলেজগুলো তাদের নির্ধারিত কর্মসূচিগুলো পিছিয়ে দিয়েছে। পরীক্ষাও পেছানো হয়েছে। দপ্তরগুলোয় তাঁরাও আজ কোনো ফাইলে সই করছেন না।

ক্যাডার–বৈষম্য, পদোন্নতিসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানসহ বিভিন্ন দাবিতে মঙ্গলবার থেকে টানা তিন দিনের ‘সর্বাত্মক কর্মবিরতি’ শুরু করেছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। ঢাকা কলেজ ইউনিট, ঢাকা কলেজ, ১০ অক্টোবর

গতকাল সোমবার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি শাহেদুল খবীর চৌধুরী ও সমিতির মহাসচিব মো. শওকত হোসেন মোল্ল্যার সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আশা করেছিলাম, কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং শিক্ষা ক্যাডারের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এ কারণে সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিন দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।’

এর আগে একই দাবিতে ২ অক্টোবর কর্মবিরতি পালন করেছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি তুলে ধরার পাশাপাশি কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, পদোন্নতি–বৈষম্য কমাতে সব ক্যাডারে সুপারনিউমারারি পদ (নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংখ্যার চেয়ে অতিরিক্ত পদ) সৃষ্টি করে পদোন্নতি দেওয়া, অধ্যাপকদের বেতন গ্রেড তৃতীয় ধাপে উন্নীত করা ও অর্জিত ছুটির সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। শিক্ষা ক্যাডারের তফসিলভুক্ত পদ ‘দখলের মানসে’ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার জন্য পৃথক নিয়োগ বিধিমালা করা হয়েছে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির অভিযোগ, পদোন্নতিতে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে শিক্ষা ক্যাডার।