সিলেটের সফির উদ্দিন হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন করেছে চীনা দূতাবাস। স্মার্ট ক্লাসরুমে হুয়াওয়ে আইডিয়াহাবের একটি উন্নত লার্নিং সলিউশন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে
সিলেটের সফির উদ্দিন হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন করেছে চীনা দূতাবাস। স্মার্ট ক্লাসরুমে হুয়াওয়ে আইডিয়াহাবের একটি উন্নত লার্নিং সলিউশন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে

সিলেটে দ্বিতীয় স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন

সিলেটের সফির উদ্দিন হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে গতকাল রোববার (৩ ডিসেম্বর) স্মার্ট ক্লাসরুম উদ্বোধন করেছে চীনা দূতাবাস। বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের উদ্যোগ ও অর্থায়নে এটি দ্বিতীয় স্মার্ট ক্লাসরুম। এ উপলক্ষে সফির উদ্দিন হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ‘চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

স্মার্ট ক্লাসরুমে হুয়াওয়ে আইডিয়াহাবের একটি উন্নত লার্নিং সলিউশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উন্নত অনসাইট ও অনলাইনে শিক্ষা প্রদান এবং পড়াশোনার ক্ষেত্র তৈরিতে সহায়তা করবে। এ প্রকল্পের টেকনিক্যাল পার্টনার হিসেবে স্মার্ট ক্লাসরুমে চেয়ার, টেবিল ও অন্যান্য সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করেছে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া।

স্মার্ট ক্লাসরুমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফেং। এ ছাড়া এই অনুষ্ঠানে চীনা দূতাবাস ও হুয়াওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের সময় সফির উদ্দিন হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে এ স্মার্ট ক্লাসরুমের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। অতিথিদের সামনে হুয়াওয়ের আইডিয়াহাবের সুযোগ-সুবিধাগুলো তুলে ধরা হয়। একটি স্মার্ট দেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক তৈরিতে স্মার্ট ক্লাসরুমের বিভিন্ন ফিচার তুলে ধরা হয়।

আজকের অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘স্মার্ট ক্লাসরুম চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের নিদর্শন। বিজয়ের এই মাসে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে একধাপ এগিয়েছি। ফাইভ-জি প্রযুক্তির অগ্রগতির মাধ্যমে আজকের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দেবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগের জন্য আমাদের নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। আগামী বছরে সিলেটের আরও অনেক প্রতিষ্ঠান এ ধরনের স্মার্ট ক্লাসরুম পাবে বলে আশা করছি।’

বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘বন্ধু হিসেবে চীন বাংলাদেশের জনগণকে উন্নয়নের নিয়ে যেতে চায়। এ দেশের প্রধানমন্ত্রী একটি স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন। এর জন্য আমাদের অবশ্যই স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট মানুষ ও স্মার্ট ছাত্র থাকতে হবে। এ জন্য আমাদের স্মার্ট ক্লাসরুম আছে। এ ক্লাসরুমের সাহায্যে শিক্ষার্থীদের শেখার সর্বোত্তম সুযোগ থাকবে। শ্রেণিকক্ষকে আমরা সিলেট ও সারা দেশে ছড়িয়ে দেব। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে পরের বছর চীন সফরের জন্য কিছু ছাত্র ও শিক্ষক নির্বাচন করব।’

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী প্যান জুনফেং বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী আইসিটি অবকাঠামোর নেতৃত্বের জায়গা থেকে হুয়াওয়ে সব সময় স্থানীয় প্রতিভা বিকাশের প্রোগ্রামগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। আমাদের প্রকল্পগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের বৈশ্বিক দিগন্ত প্রসারিত করার জন্য অসামান্য সুযোগ প্রদান করছে। গত বছর আমরা হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমি চালু করেছি।’

সফির উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রশিদ আহমেদ বলেন, ‘আমি আশা করি এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, চীনা বন্ধুদের এ সহায়ক হাত চিরকাল এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে থাকবে।’

২০২৩ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস এবং হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া চাঁদপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম ডিজিটাল ক্লাসরুম উদ্বোধন করে।