বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ও তথ্যপ্রযুক্তির (আইটি) উন্নতির জন্য ১০ কোটি ডলার (১০০ মিলিয়ন) ঋণ দিচ্ছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। গত মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত ঋণ চুক্তি সই করেছে এডিবি এবং বাংলাদেশ। রাজধানীতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও এডিবির মধ্যে এ চুক্তি হয়। বাংলাদেশের পক্ষে ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এডিমন গিনটিং বলেন, এ প্রকল্প চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি গ্রহণকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়ন করবে এবং দেশকে ডিজিটালযোগ্য তরুণ মানবসম্পদ ও উদ্যোক্তা তৈরি করে ডেমোগ্রাফিক ডেফিডিয়েন্টকে কাজে লাগাতে সক্ষম করে তুলবে। এই নতুন উদ্যোগ প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে শিল্প অংশীদারত্বের মাধ্যমে এডিবির চলমান দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করবে।
এ প্রকল্পের নাম ‘ইমপ্রুভিং কম্পিউটার অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং টারশিয়ারি এডুকেশন প্রজেক্ট’। এ প্রকল্পে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনফরমেশন টেকনোলজি ডিগ্রি প্রোগ্রামগুলোকে আপগ্রেড করবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
এ ঋণে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার প্রকৌশল ও তথ্যপ্রযুক্তি ডিগ্রি প্রোগ্রামগুলো উন্নত করা হবে। এ প্রোগ্রামগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস ও ইন্টারনেট অব থিংসের মতো সর্বশেষ প্রযুক্তিগুলোর বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা যৌথ গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার জন্য শিল্প অংশীদারত্বের সঙ্গে কাজ করবে। বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ সুযোগ, কর্মজীবন কাউন্সেলিং এবং শিল্প প্লেসমেন্ট স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদান করা হবে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ পাবেন বেশি।
এডিবি তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক শ্রেণিকক্ষ ও ল্যাবরেটরি, স্টার্টআপ স্পেস ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এতে জলবায়ু ও দুর্যোগ-সহনশীল নকশা, শক্তি ও পানিসাশ্রয়ী বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এ ছাড়া নারীবান্ধব সুযোগ-সুবিধা ও পরিষেবাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নতুন শিক্ষামূলক পদ্ধতি ও ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে শিক্ষকদের সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে। এই তিন ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা যৌথ গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে উদ্ভাবনী সমাধানে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গেও কাজ করবেন।