শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ইতিমধ্যে তিন হাজার মাদ্রাসায় বিজ্ঞান শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব মাদ্রাসায় বিজ্ঞান শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। মাদ্রাসাপড়ুয়া শিক্ষার্থী যেন সুনাগরিক ও বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে, সে জন্য শিক্ষকদের কাজ করে যেতে হবে।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ছিপাতলি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিভাগীয় মাদ্রাসাশিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আয়োজনে এতে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও চট্টগ্রাম-৫ আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষার প্রসারে ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। যেটি আপনাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করতে ২০১৫ সালে তিনি পৃথক মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর গঠন করেছেন। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যত প্রকল্প গ্রহণ করি, প্রতিবার মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তার কারণ, সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হবে। অনেকে মনে করেন মাদ্রাসায় আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের শিক্ষা দেওয়া হয় না, কিন্তু সেটি বাস্তব নয়। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে তিন হাজার মাদ্রাসায় বিজ্ঞান শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব মাদ্রাসায় বিজ্ঞান শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। ১ হাজার ৩৬টি মাদ্রাসায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ক্লাব ও ভোকেশনাল কোর্স চালু করা হয়েছে। শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। মাদ্রাসাপড়ুয়া একজন শিক্ষার্থী যাতে সুনাগরিক ও বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে, সে জন্য শিক্ষকদের কাজ করে যেতে হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মাদ্রাসা শিক্ষক সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জেষ্ঠ্য সচিব মো. কামাল হোসেন ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ।