পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সনের উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা, ১ জানুয়ারি, ২০২৫
পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সনের উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা, ১ জানুয়ারি, ২০২৫

১৫ বছরের মধ্যে এবার হলো না বই উৎসব, অনলাইন ভার্সন উদ্বোধন, বই ওয়েবসাইটে

আজ বুধবার শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। নতুন এই শিক্ষাবর্ষে নতুন শিক্ষাক্রম বাদ দিয়ে পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফিরছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এবার পাঠ্যবইয়েও অনেক পরিবর্তন এসেছে। অনেক বিষয়বস্তু সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৪৪১টি বই পরিমার্জন করা হয়েছে, যা অনলাইনে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে বইয়ের পিডিএফ কপি পাওয়া যাবে আজ থেকে।

নতুন বই সবার হাতে দিতে না পারায় পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সনে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ কার্যক্রম আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

প্রাক্-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ের সংখ্যা ৯ কোটি ৬৪ লাখের মতো। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত উপজেলা পর্যায়ে পাঠানোর জন্য ছাড়পত্র হয়েছে ৩ কোটি ৯৪ লাখ বইয়ের।

শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যবই প্রণয়ন এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করে এনসিটিবি। করোনাকাল ছাড়া ২০১০ সাল থেকে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎসব করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে বই তুলে দেওয়ার বিষয়টি অনেকটা রেওয়াজে পরিণত হয়; কিন্তু ২০২৪ সালের প্রথম দিনে সারা দেশের বিদ্যালয়গুলোতে নতুন বই বিতরণ শুরু হলেও প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থী সব বই হাতে পায়নি। গত ১৫ বছরের মধ্য এবারই হলো না বই উৎসব। সব শিক্ষার্থীরা পেল না নতুন বই। কয়েকটি বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা।

এবার নতুন বছরের জন্য সমস্যাটি তীব্র হয়েছে। এনসিটিবি সূত্রমতে, নতুন শিক্ষাবর্ষে চার কোটির মতো শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য ৪০ কোটির বেশি বই ছাপানো হচ্ছে। ছাপানোর কাজ শেষ না হওয়ায় সব শিক্ষার্থী হাতে পেল না বই।