ভিসা নীতি বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফির ওপর নির্ভরশীল। গতকাল বুধবার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিকে ইঙ্গিত করে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
নতুন পাঠ্যসূচি নিয়ে কারও কথায় বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ গবেষণা ও সবার মতামত নিয়ে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছি। এ শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীদের মুখস্থবিদ্যা থেকে সরিয়ে বুঝতে এবং বাস্তব ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করতে শেখাবে।
এ ব্যাপারে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে কোনো কোনো মহল। কারও কথায় বিভ্রান্ত হবেন না।’ প্রণীত শিক্ষাক্রম রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের উপযোগী নাগরিক গড়ে তুলতে সাহায্য করবে মন্তব্য করে আগামী বছরের প্রথম দিনই সবার হাতে নতুন বই তুলে দিতে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ভিসা নীতি বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুব আগ্রহী, যাতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা তাদের দেশে যায়। তাদের দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফির ওপর নির্ভরশীল।’
দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সোনার মানুষ প্রয়োজন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। সততা ও যোগ্যতায় স্মার্ট হতে হবে। সোনার বাংলার জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা এগিয়ে যাব।’
বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির উদ্যোগে এ উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
আগামী ১ অক্টোবর ৫ দিনের এ প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান হবে সিলেটের আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে। ৫টি ইভেন্টে সারা দেশে ৪ লাখ শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে লড়ছে প্রায় ৫০০ খেলোয়াড়। দেশের ৮টি বিভাগকে ৪টি অঞ্চলে ভাগ করে চলছে এ প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে মোট ৪৯৬ জন খেলোয়াড় জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।