অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘খোকা’ প্রিমিয়ার দেখে শিক্ষার্থীরা
অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘খোকা’ প্রিমিয়ার দেখে শিক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থীরা দেখল বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত অ্যানিমেশন ফিল্ম

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব-কৈশোরকে প্রাধান্য দিয়ে নির্মিত বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম প্রায় ৯৬ মিনিটের অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘খোকা’র প্রিমিয়ার শো আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের স্টার সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের ‘মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশন এর দক্ষতা উন্নয়ন’ প্রকল্পের উদ্যোগে আজ ১১ পর্বের এই অ্যানিমেশন সিরিজ নির্মাণ করা হয়। ১১ পর্বের সিরিজটিকে একসঙ্গে করে অ্যানিমেশন ফিল্ম হিসেবে প্রদর্শন করা হয়।

সকালে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘খোকা’র প্রিমিয়ার শো পথশিশু ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে উপভোগ করেন। সারা দিনব্যাপী সিরিজটির মোট পাঁচটি প্রদর্শনী আয়োজিত হচ্ছে।

প্রদর্শনীগুলো চলেছে যথাক্রমে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট, বেলা ১টা ৩০ মিনিট, বেলা ৩টা ৪৫ মিনিট, বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট ও সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে।

অ্যানিমেশন সিরিজটি উপভোগ শেষে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শৈশবে যেমন একজন মানবিক শিশু ছিলেন, কৈশোরে তেমনই দুরন্ত-প্রতিবাদী ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী প্রত্যন্ত অঞ্চল টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে কীভাবে বড় হয়ে আস্তে আস্তে খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে মুজিব ভাই, মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির জনকে পরিণত হলেন এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক নেতৃত্বকে এই অ্যানিমেশনের মাধ্যমে সহজ ও সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলেও জানান।

জুনাইদ আহ্‌মেদ আরও বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি ও শিল্পের সমন্বয়ে সৃজনশীল তরুণ প্রজন্ম গড়ে তুলতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ কাজ করছে। মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৮ হাজার মোবাইল অ্যাপ এবং গেম ডেভেলপার তৈরি করেছি।’ এ ছাড়া দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয় ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মোবাইল অ্যাপস, গেমিং ল্যাব, আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ–গেম টেস্টিং সেন্টার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অত্যাধুনিক শেখ রাসেল অ্যানিমেশন স্টুডিও স্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে অ্যানিমেশন শিল্পের বাজার দাঁড়াবে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলারে। সেখানে দেশের মেধাবী তরুণেরা যাতে অবদান রাখতে পারেন, তার জন্য আমরা ফিউচার অ্যানিমেটর্স অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ ইকোনমি (ফেস অব স্মার্ট বাংলাদেশ) প্রকল্প গ্রহণ করছি।’ তিনি বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় ফ্রান্সের সঙ্গে যৌথ সহায়তায় পরিবেশ ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সচেতনতা তৈরির জন্য ‘সং অব ঝিনুক’ এবং বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবনকে তুলে ধরার জন্য ‘দ্য স্ট্রাগল’ নামে অ্যানিমেশন মুভি তৈরি করা হবে।

মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে নির্মিত এই সিরিজ পরিচালনায় ছিলেন প্রোল্যান্সার স্টুডিওয়ের সোহেল মোহাম্মদ রানা। প্রযোজকের দায়িত্বে ছিলেন এম ই চৌধুরী শামীম। নির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্বে ছিলেন শেখ অলিদুর রহমান হীরা ও দিলারা আফরোজ খান রুপা।

অ্যানিমেশন ফিল্ম ‘খোকা’ প্রিমিয়ার দেখে শিক্ষার্থীরা

এই সিরিজে স্ক্রিপ্টের দায়িত্বে ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত নাট্য রচয়িতা ও নাট্যব্যক্তিত্ব মাসুম রেজা, রতন সিদ্দিকি, আহমেদ সাদ রিজভী, শেখ সাদি, মিথুন হাসানসহ প্রমুখ। রিসার্চের দায়িত্বে ছিলেন সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা অজয় দাশগুপ্ত। ভয়েস ডিরেকশনের দায়িত্বে ছিলেন রফিকুল সেলিম। লিড ক্যারেক্টার ডিজাইনার ছিলেন জাওয়াদ মাহমুদ। সিরিজটি তৈরি করেছে টিম অ্যাসোসিয়েট, মার্স সলিউশন, ম্যাজিক ইমেজ ও প্রোল্যান্সার স্টুডিও, পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সোহেল মোহাম্মদ রানা। বিজ্ঞপ্তি