যুক্তরাজ্য বিদেশি শিক্ষার্থী ও দক্ষ কর্মীদের প্রবেশ সীমিত করার জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এ ভিসা নীতির কারণে কাজের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধি এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবার (স্বামী/স্ত্রী) নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এখন থেকে দক্ষ কর্মীদেরই ভিসা দেবে যুক্তরাজ্য।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে, কেবল স্নাতকোত্তর গবেষণা ডিগ্রিতে পড়া বিদেশি শিক্ষার্থীরাই পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে নিতে পারবেন। এর বাইরে কোনো শিক্ষার্থী পরিবারের সদস্যদের নেওয়ার সুযোগ পাবেন না। এ ছাড়া দক্ষ কর্মী ভিসার জন্য বিদেশিদের বেতন ন্যূনতম বেতনের সীমাও বাড়াল যুক্তরাজ্য সরকার।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নতুন ভিসা নীতির অধীন অভিবাসীদের ওয়ার্ক ভিসা পেতে আরও বেশি করে আয় করতে হবে। এ ছাড়া পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া কঠিন হবে।
প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাজ্য সরকার দেশটিতে অভিবাসীদের সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেওয়ার ঘটনায় সমালোচিত হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি অভিবাসী গেছেন। এটি যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতেও বড় ইস্যু হয়ে উঠছে। অভিবাসীদের এই চাপ ঠেকাতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে সরকার।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি জানিয়েছেন, দক্ষ বিদেশি কর্মীদের ভিসা পাওয়ার জন্য ন্যূনতম ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড উপার্জন করতে হবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ৪৮৯ টাকা আয় করতে হবে (আজ বুধবারের হিসেবে ১ পাউন্ড সমান ১৩৯ দশমিক শূন্য ৬ টাকা)। আর বর্তমানে এ আয়ের সীমা ২৬ হাজার পাউন্ড।
বিদেশি সেবাকর্মীদের পরিবারের সদস্য নিয়ে আসা বন্ধ করা এবং ভিসা স্পনসরের জন্য ইংল্যান্ডের কেয়ার ফার্মগুলোকে কেয়ার কোয়ালিটি কমিশনে নিবন্ধিত হতে হবে। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ২০২৪-২৫ সাল নাগাদ এ নিয়মে ২০ শতাংশেরও বেশি আগমন কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দক্ষ কর্মী ভিসায় যাওয়া বিদেশিদের বার্ষিক আয় ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি করে ৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড হবে। ঘাটতি পেশাগুলোর জন্য ২০ শতাংশ বেতন ছাড়ের অবসান করা এবং ঘাটতি পেশার তালিকা সংস্কার করে কম খরচে বিদেশি কর্মী নেওয়া বা বাতিল করা।
ফ্যামিলি ভিসার জন্য দক্ষ কর্মীদের ন্যূনতম আয়ের (৩৮ হাজার ৭০০ পাউন্ড) দ্বিগুণ আয় থাকা। বিদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাজ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে নিয়ম কঠোর করা। তবে এর জন্য স্নাতক রুট উপদেষ্টা কমিটি পর্যালোচনা করবে। আর এসব সিদ্ধান্ত আগামী বছরের শুরুর দিকে কার্যকর হবে।