বিদেশে পড়ার স্বপ্ন, দেখুন বিশ্বের শীর্ষ ৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা

বিদেশে পড়ার স্বপ্ন থাকে অনেকের। যাঁরা পড়াশোনা করতে চান, তাঁদের পছন্দের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় থাকে। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়তে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী দেশের বাইরে যান। কেউ বৃত্তি নিয়ে, কেউ বা নিজ খরচে পড়তে যান। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ইউরোপ ও আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়তে যান বেশি। টিউশন ফি মওকুফের পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থিক সুবিধাও মেলে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং যে যে সংস্থা করে, তাদের অন্যতম যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস)। এই শিক্ষা ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান প্রতিবছর বিশ্বের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা করে। তালিকার শীর্ষ ৫ বিশ্ববিদ্যালয় হলো—

১. ম্যাসাচুয়েটস ইনস্টিটিউশন অব টেকনোলজি (এমআইটি)
আমেরিকার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপ্তি পুরো বিশ্বে আছে। যুক্তরাষ্ট্রকে শিল্পায়নে সহায়তা করতে এমআইটির শিক্ষার্থীদের অবদান রয়েছে। তাঁরা নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও শিল্পে অবদান রাখার ফলে লাখো আমেরিকানদের চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ জন্য প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করে এ বিশ্ববিদ্যালয়।

২. কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্বে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি তার ব্যতিক্রমী শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় শিক্ষাগত মূল্যায়নে উচ্চ র‌্যাঙ্কিং অর্জন করেছে। শিক্ষা ও গবেষণার জন্য কেমব্রিজ মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়। কেমব্রিজের স্নাতকেরা কর্মক্ষেত্রেও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। এ বিশ্ববিদ্যালয় ‘কলেজিয়েট’ মডেল অনন্য। বিভিন্ন একাডেমিক অনুষদ, বিভাগ ও ৩১টি কলেজ (যার মধ্যে ২৯টি স্নাতক আবেদনের জন্য উন্মুক্ত)। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৫টির বেশি বিষয়ের ওপর ৩০টিরও বেশি স্নাতক কোর্স রয়েছে।

৩. অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ইংরেজিভাষী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় এটি। অক্সফোর্ডে মানবিক, গণিত, শারীরিক এবং জীবনবিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞানে পড়াশোনা করা যায়। বিশেষ করে, বিজ্ঞান বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয়টির অসাধারণ সাফল্য রয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে ভালো প্রতিষ্ঠান।

অক্সফোর্ডে ৪৮টি বিষয়ের বৈচিত্রপূর্ণ স্নাতক কোর্স রয়েছে। সাধারণ বিজ্ঞান থেকে শুরু করে মানবিক, আইন, ভাষা, চারুকলাসহ নানা বৈচিত্রপূর্ণ বিষয় পড়ানো হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা দর্শন, নৃবিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব ও প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে যৌথ স্নাতক করার সুযোগ পান।

বর্তমানে যুক্তরাজ্যের শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি বছরে ৯ হাজার ২৫০ পাউন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয়ে সহায়তা করার জন্য শিক্ষাঋণও আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফি বাড়ছে।

৪. হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরোনো উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে আবেদনে কোনো নিদিষ্ট পদ্ধতি নেই। আবেদনের প্রক্রিয়াটিতে বিভিন্ন ধাপে যেমন ফরম পূরণ, প্রবন্ধের প্রতিক্রিয়া, শিক্ষকের মূল্যায়ন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিবেদন, স্যাট সাবজেক্ট পরীক্ষা এবং অ্যাকট পরীক্ষা বা লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়।

৫. স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভের সুযোগ পান। এতে বৈশ্বিক নাগরিক হয়ে উঠার সুযোগ মেলে। প্রতিবছর প্রায় ১ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থী ভর্তি হন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে।