নির্ভয় থাকার, অষ্টম থেকে দ্বাদশ শেষ ৯ মাসেই

নির্ভয় থাকার
ছবি: সংগৃহীত

সাধারণত ১৫–১৬ বছর বয়সে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়া শেষ হয়। আর স্নাতক শেষ করতে ২২–২৩ বছর লেগেই যায়। কিন্তু ভারতের গুজরাটের জামনগরের কিশোর নির্ভয় থাকার স্নাতক শেষ করে ফেলেছে মাত্র ১৫ বছর বয়সে। মাত্র এক বছরে সম্পূর্ণ ব্যাচেলর অব ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি কোর্স সম্পন্ন করে খবরের শিরোনাম নির্ভয় থাকার।

ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৫–১৬ শিক্ষাবর্ষে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণি পাস করতে নির্ভয়ের সময় লেগেছিল মাত্র ছয় মাস। এরপর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি পাস করতে সময় আরও কম, মাত্র তিন মাস লেগেছিল তার। ২০০২ সালে জন্ম নেওয়া নির্ভয় ১৩ বছর বয়সে এইচএসসি সম্পন্ন করে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে সে গুজরাটের সর্বকনিষ্ঠ প্রকৌশলী হয়। চার বছরের ডিগ্রি কোর্স পাস করতে সে মাত্র এক বছর সময় নেয়। ২০১৮ সালে গুজরাট টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি (জিটিইউ) থেকে সে তার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করে।

নির্ভয় বিভিন্ন ডিগ্রি নিতে চায়। তার লক্ষ্য ৩ বছরের মধ্যে ১০টি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি এবং ৪ বছরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ৫টি শাখা—ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, কম্পিউটার, ইনস্ট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড অটোমেশন এবং কেমিক্যাল ডিগ্রি অর্জন করা।

নির্ভয়ের বাবা ধবল থাকার একজন প্রকৌশলী ও মা চিকিৎসক। নির্ভয় ইন্টারন্যাশনাল জেনারেল সার্টিফিকেট অব সেকেন্ডারি এডুকেশনের (আইজিসিএসই) অধীনে তার স্কুলের পড়াশোনা সম্পন্ন করেছে, যা দ্রুত শিক্ষার্থীদের অল্প সময়ের মধ্যে স্কুলের পড়া শেষ করতে দেয়।

এরই মধ্যে নির্ভয় থাকার গবেষণা ও পণ্য উন্নয়নে কাজ করার জন্য গান্ধীনগরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (আইআইটি) যোগ দিয়েছিল। সে প্রতিরক্ষা খাতে পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে চায়। ১০টি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়াও সে পিএইচডি করতে চায়। ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেসের ইয়াং অ্যাচিভার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে সে। এ পুরস্কার গ্রহণের সময় নির্ভয় বলে, ‘আমি বিশ্বাস করি যে আপনি যা পড়ছেন, তা বুঝতে পারলে আপনি যেকোনো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবেন, মুখস্থ করে শেখা কখনোই সাহায্য করে না। আমি ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত একটি সিবিএসই স্কুলে ছিলাম এবং সেই স্কুলটি ষষ্ঠ শ্রেণি শেষ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার অনুমতি দিত না। তাই আমি স্কুল পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি একটি আইজিসিএসই স্কুলে প্রাইভেট প্রার্থী হিসেবে ভর্তি হয়েছিলাম। এটি আমাকে এক বছরে পাঁচটি শ্রেণি সম্পন্ন করতে সাহায্য করেছিল।’