বাংলাদেশের এহসান হক সৌদির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভাগের প্রধান গবেষক হলেন

সৌদি আরবের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রধান গবেষক এহসান হক
 ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও গবেষক এহসান হক সম্প্রতি সৌদি আরবের জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভাগের প্রধান গবেষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। তিনি কাজ করবেন সৌদি সরকারের তথ্য এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভাগ সাডায়ার সঙ্গে। সাডায়া হলো সৌদি ডেটা অ্যান্ড এআই অথোরিটি।

২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সাডায়ার লক্ষ্য সৌদি আরবকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিশ্বের অন্যতম শক্তিতে পরিণত করা। তথ্যকে একুশ শতকের নতুন ‘তেলে’ পরিণত করার উদ্দেশ্যে সৌদি আরব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পেছনে এর মধ্যে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। ২০৩০ সালে এটি ১৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এহসান হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘লক্ষ্য অর্জনে সময়োপযোগী নীতিমালা, কৌশল প্রণয়ন এবং সেটি বাস্তবায়নে তিনি নেতৃত্ব দেবেন সৌদির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সব রকম গবেষণা এবং উন্নয়নে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুষম এবং নৈতিক প্রয়োগ সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্র—যেমন স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, ধর্ম, জলবায়ুতে কি করে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা যায়, তা নিয়ে গবেষণা করবেন।’

এহসান হক পড়াশোনা করেছেন ঢাকার উদয়ন স্কুল, ঢাকা কলেজে। স্নাতকের জন্য পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। পেন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক করেছেন। ইউনিভার্সিটি অব মেম্ফিস থেকে করেছেন মাস্টার্স। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এমআইটি থেকে পিএইচডি করেছেন। ২০১৬ সালে এমআইটি টেক রিভিউ তাঁকে ৩০ বছরের নিচে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ৩৫ জন বিজ্ঞানী হিসেবে ভূষিত করেন। ২০১৭ সালে সায়েন্স নিউজ তাকে ‘টেন সায়েন্টিস্ট টু ওয়াচ’ হিসাবে চিহ্নিত করেন।

এহসান হক ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে গুগল ফ্যাকাল্টি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি অব মেডিসিন তাঁকে চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একজন উদীয়মান পথ প্রদর্শক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এহসান হক আমেরিকার রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের  সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে ১০ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। ছুটি নিয়ে নতুন দায়িত্ব সৌদি আরবের সাডায়ার সঙ্গে কাজ করছেন।