বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য কমপক্ষে এক সেমিস্টার বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপের সুযোগ রেখে কারিকুলাম হালনাগাদ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর। শিল্প, বাণিজ্য, গবেষণাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা অর্জন করতে এ বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে যত শিক্ষার্থীর ইন্টার্নশিপের সংযুক্তির সুযোগ রয়েছে, সেটি বিবেচনায় এনে উচ্চশিক্ষা স্তরে শিক্ষার্থী ভর্তি করার বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। সক্ষমতার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করলে মানসম্মত গ্র্যাজুয়েট তৈরি না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গতকাল সোমবার ইউজিসির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শুদ্ধাচারসংক্রান্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর এ কথা বলেন।
মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে গতানুগতিক কাজের ৫০ শতাংশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সম্পন্ন হবে। উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কাজেই কেবল জনসম্পৃক্ততার প্রয়োজন হবে। তাই সময়ের চাহিদা পূরণে বর্তমান উচ্চশিক্ষার পাঠ্যক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসা জরুরি।
মুহাম্মদ আলমগীর আরও বলেন, শুধু পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করলেই চলবে না; গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে কি না, তা মানের সূচকে যাচাই করতে হবে। অন্যথায় গ্র্যাজুয়েটরা দক্ষতার ঘাটতি নিয়ে শিক্ষাজীবন শেষ করবেন।
ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রিসোর্স পারসন হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের এমডিএস (আরঅ্যান্ডসি) ও অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলাম। কমিশনের উপসচিব ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের ফোকাল পয়েন্ট মো. আসাদুজ্জামানের উপস্থাপনায় প্রশিক্ষণে ইউজিসির ৫৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ফেরদৌস জামান বলেন, দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তদারকি ও এগিয়ে নেওয়ার জন্য ইউজিসির কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।