একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন মাদ্রাসাশিক্ষকদের এমপিওভুক্তিকরণ, এমপিওভুক্ত মাদ্রাসায় বিশেষ বরাদ্দ, উচ্চতর স্কেল প্রদান, পদোন্নতির নামে প্রতারণার ফাঁদ ফেলেছে। এসব প্রতারণা থেকে সবাইকে সাবধান থাকতে বলেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেউ কোনো ধরনের সুবিধা বা অর্থ দাবি করলেই বুঝতে হবে, এটা প্রতারক চক্রের কাজ। এ ক্ষেত্রে দ্রুত পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।
ইতিমধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তার নামে একাধিক প্রতারক চক্র বিভিন্ন মাধ্যমে (হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কর্মকর্তার ছবি ব্যবহার করে) টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে কোনো কাজে টাকা প্রদানের প্রয়োজন নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিজি প্রতিনিধি মনোনয়নে সহযোগিতা, এমপিও শিটে নাম, পদবি, জন্ম-তারিখ সংশোধন, বকেয়া প্রদান, প্রশিক্ষণে শিক্ষক-কর্মকর্তা মনোনয়ন, ইনডেক্স প্রদান, ইনডেক্স কর্তনসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজ করিয়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস–প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসায় ফোন, ই-মেইল, হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে এসএমএস, বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা দাবি করছে। ইতিমধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তার নামে একাধিক প্রতারক চক্র বিভিন্ন মাধ্যমে (হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কর্মকর্তার ছবি ব্যবহার করে) টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে কোনো কাজে টাকা প্রদানের প্রয়োজন নেই। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর সুনির্দিষ্ট বিধিবিধানের ভিত্তিতে সেবা প্রদান করে থাকে। অর্থের বিনিময়ে বা উপহারের বিনিময়ে কোনো কিছুই হওয়ার সুযোগ নেই। অধিদপ্তরের কার্যক্রম নিয়মিত ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হয়ে থাকে। যে সমস্ত ফোন নম্বর দিয়ে বিকাশ, রকেট, নগদ বা অন্য কোনো মাধ্যমে ফোন করে অর্থ দাবি করে, সে সমস্ত নম্বর চিহ্নিত করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় এ ধরনের প্রতারক চক্র বা ব্যক্তি বা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসাসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কথিত কর্মকর্তা কর্তৃক ই-মেইল, এসএমএস, ফোন, চিঠিপত্র কিংবা তাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগের ভিত্তিতে কাউকে কোনো অর্থ বা উপহার না দেওয়ার জন্য অনরোধ করেছে অধিদপ্তর।