চিকিৎসক
চিকিৎসক

বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট-কমেন্ট করলে প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: বিসিপিএস

বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জন্সকে (বিসিপিএস) কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ‘বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য, পোস্ট অথবা কমেন্ট’ করলে সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর বিসিপিএসকে নিয়ে ‘বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য, পোস্ট অথবা কমেন্ট’ করলে কলেজের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফেলোশিপ প্রোগ্রামের দ্বিতীয় পর্বে এফসিপিএস অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের পারিতোষিকের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করে বিসিপিএসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিসিপিএসের ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় যে সকল প্রশিক্ষণার্থী জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থী হিসাবে এফসিপিএস ২য় পর্বের প্রশিক্ষণে আছেন, তাঁদের বিসিপিএসের ওয়েবসাইট থেকে পারিতোষিক প্রদানের বিল ফরম ডাউনলোড করে যথাযথভাবে পূরণ করে কলেজের আরটিএম বিভাগে আগামী ৫ জুনের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। যে সকল প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণস্থলের বাইরে অন্য কোথাও কোনো প্রকার চাকরি, ডিউটি বা প্র্যাকটিস করেন অথবা অন্য কোনো উৎস হতে বেতন-ভাতা গ্রহণ করেন তাঁদের বেলায় পারিতোষিকের জন্য আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।’

বিজ্ঞপ্তিতে প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ১০ দফা নির্দেশনাও জারি করা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো—

১.

বিসিপিএস কর্তৃক স্বীকৃত সরকারি, সংবিধিবদ্ধ, ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত অলাভজনক এবং বিশেষায়িত হাসপাতাল মেডিকেল প্রতিষ্ঠানসমূহের বিভিন্ন বিভাগে প্রশিক্ষণরত এফসিপিএস ১ম পর্ব পাস করা বেসরকারি/অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের পারিতোষিক ভাতা প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, বিসিপিএস কর্তৃক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভাগসমূহে সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণকাল অনুযায়ী ভাতা প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণার্থীরা উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ হইতে কোনো প্রকার বেতন/ভাতাদি গ্রহণ করিতে পারিবেন না;

২.

১এপ্রিল ২০২৪ তারিখ হইতে মাসিক ২০,০০০/- টাকার পরিবর্তে ২৫,০০০/- টাকা হারে প্রশিক্ষণার্থীদের পারিতোষিক প্রদান করা হবে। তবে সময়ে সময়ে সরকার কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপন মোতাবেক এ ভাতার হার পুন:নির্ধারণ করা হইবে;

৩.

এ প্রশিক্ষণেরর পারিতোষিক গ্রহণকারী অন্য কোথাও কোন প্রকার চাকরি/ডিউটি/প্র্যাকটিস করতে পারবেন না অথবা অন্য কোন উৎস হতে বেতন/ভাতা উত্তোলন করতে পারবেন না। যদি কখনও তা প্রমাণ হয়, তাহলে সমূদয় টাকা ফেরৎসহ বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে;

৪.

সরকার হতে অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে ফেলোশীপ প্রোগ্রামের আওতায় প্রশিক্ষণার্থীদের ৩-৫ বৎসর/পুরো প্রশিক্ষণকাল এ পারিতোষিক প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণের কোনো মেয়াদ ০৬ মাসের কম হইবে না;

৫.

প্রতি ৬ মাসের প্রশিক্ষণ মেয়াদ যথাযথভাবে গ্রহণ করার নিশ্চয়তা ও প্রমাণপত্র স্থানীয় মনিটরিং কমিটি/প্রশিক্ষক/হাসপাতাল পরিচালক/সুপারিন্টেনডেন্ট/সিভিল সার্জনের কাছ থেকে গ্রহণ করতে হবে। সন্তোষজনকভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্তি সনদ ও প্রত্যয়নপত্র জমাদান সাপেক্ষে এ পারিতোষিক প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, ভাতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াগত প্রয়োজনীয় সময় বিবেচনা করিতে হবে;

৬.

বিসিপিএস স্বীকৃত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রোড ম্যাপ অনুযায়ী বেসরকারি প্রশিক্ষণার্থীদেরকে পদায়ন করা হবে;

৭.

প্রতিজন প্রশিক্ষকের অধীনে নির্ধারিত সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রশিক্ষণার্থীর অতিরিক্ত কাউকে ভাতা প্রদান করা হইবে না;

৮.

কলেজ আইনের ধারা ১৪ এর ৬ মোতাবেক বিসিপিএসের আর্থিক নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর প্রশিক্ষণার্থীর ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পারিতোষিক প্রদান করা হবে;

৯.

জানুয়ারি ২০২০ সেশন এবং তৎপরবর্তী এফসিপিএস ১ম পর্ব পাস করা প্রশিক্ষণরত বেসরকারি/অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের পারিতোষিকের জন্য গণ্য করা হবে;

১০.

যে সকল প্রশিক্ষণার্থী বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিসিপিএসকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য, পোস্ট অথবা কমেন্ট প্রদান করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কলেজের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ–সংক্রান্ত অন্য নিয়মাবলি অপরিবর্তিত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।