যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ছেলে শিক্ষার্থীদের আজ বিকেল ৪টার মধ্যে এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে আবাসিক হল ছাড়তে বলা হয়েছে। দেশের উদ্ভূত সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কারণে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ বুধবার সকালে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলনকক্ষে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ১০২তম জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যরা ভার্চ্যুয়ালি ও সশরীর অংশ নেন।
যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ছেলেদের আবাসিক হল আজ বিকেল ৪টার মধ্যে এবং মেয়েদের আবাসিক হল আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে ত্যাগ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আনিছুর রহমান, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) খালেদা আক্তার, যুগ্ম সচিব মোর্শেদা আক্তার, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক কৌশিক সাহা, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, ইউজিসি অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির, যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গালিব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মেহেদী হাসান, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মাহবুবুল হক খান, যশোর সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ এইচ এম আহসান হাবীব, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ।
এর আগে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এরপরই দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়ার জন্য সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এরপরই যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) রিজেন্ট বোর্ডের ১০২তম জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।