ঢাকায় ভিসা সেন্টার না থাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা পেতে সমস্যা হয়। ইইউ দেশগুলোর ভিসা সেন্টার ঢাকায় নিয়ে এলে দেশের ছেলেমেয়েদের ভোগান্তি কমে যাবে। ইইউর কূটনীতিকদের এসব কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভিএসি) অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসা কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থীই বিপাকে পড়ছেন। পর্তুগাল, বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, লিথুয়ানিয়া, হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দূতাবাস বাংলাদেশে নেই। তাই এসব দেশে পড়তে যেতে চাইলে শিক্ষার্থীদের নিকটবর্তী দেশ ভারতে গিয়ে ভিসা সাক্ষাৎকার দিতে হয়। ইইউর কূটনীতিকদের এ সমস্যার কথা জানিয়েছেন বলে আজ সোমবার ‘Chief Adviser GOB’ নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
কার্ড আকারের ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং ভুল তথ্য প্রচারের বিষয়ে আমি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের জানিয়েছি। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে যাদের ভিসা অফিস নয়াদিল্লিতে আছে, তাদের ঢাকা বা অন্য কোনো প্রতিবেশী দেশে ভিসা অফিস নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছি। আমি বলেছি, ইউরোপীয় দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা পেতে সমস্যা হয়। তারা যদি ভিসা সেন্টার ঢাকায় নিয়ে আসেন, তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েদের ভোগান্তি কমে যাবে।’
মেডিকেল ভিসা ছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের অন্য ক্যাটাগরির ভিসা বন্ধ রেখেছে ভারত।
এদিকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা বুলগেরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন, কিন্তু নয়াদিল্লিতে বুলগেরিয়ান দূতাবাসে ভিসার আবেদন জমা দিতে পারেননি, তাঁরা হ্যানয় (ভিয়েতনাম), ইসলামাবাদ (পাকিস্তান) বা আস্তানার (কাজাখস্তান) বুলগেরিয়ান দূতাবাসে গত অক্টোবর থেকে আবেদন করতে পারছেন।
প্রতি শিক্ষাবর্ষে হাজারো মেধাবী শিক্ষার্থী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বৃত্তি ও নিজ খরচে পড়তে যান। বরাবরের মতো এ বছরও বহু শিক্ষার্থী মেধার ভিত্তিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু ভারতের ভিসা না থাকায় তাঁরা নির্দিষ্ট দেশের দূতাবাসে সাক্ষাৎকার দিতে সমস্যায় পড়ছেন। তাই সরকারের পক্ষ থেকে ইইউর কূটনীতিকদের এ আহ্বান জানানো হলো।