ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের সরকার শিশুশিক্ষার্থীদের জন্য এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছে। সেই রাজ্যের শিশুশিক্ষার্থীরা ব্যাগ ছাড়াই যাবে স্কুলে। শিশুদের ওপর বইয়ের বোঝা কমাতে রাজ্যের সব স্কুলে ১০ দিন ‘ব্যাগ-ফ্রি’ দিন চালু করা হয়েছে। এ বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এ উদ্যোগ।
দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরাখন্ড রাজ্য সরকার শিশুদের ওপর বইয়ের বোঝা কমাতে সব স্কুলে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১০ দিন ‘ব্যাগ-ফ্রি’ দিন চালু করেছে। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কোনো স্কুলব্যাগ ছাড়াই প্রতি মাসের শেষ শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাবে। স্কুলব্যাগ ও বই ছাড়া এ কার্যদিবসগুলোকে ‘প্রতিভা দিবস’ হিসেবে সম্বোধন করা হয়। দেশটির নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-এর সঙ্গে মিল রেখে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। এই ১০ দিন শিক্ষার্থীদের মেশিন লার্নিং, মৃৎশিল্প, কাঠের কাজ, ক্যালিগ্রাফি, স্বাস্থ্যশিক্ষা, যোগাযোগ দক্ষতা, প্রকৃতি সংরক্ষণ, ওয়েল্ডিং, কাস্টিং, সেলাই ও রোবোটিকসের মতো বিভিন্ন সৃজনশীল বিষয় শেখানো হবে। এ উদ্যোগের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকা সুপ্ত প্রতিভা ও সামগ্রিক বিকাশকে উৎসাহিত করা। শিক্ষার্থীরা যেন তাদের আগ্রহ ও প্রতিভার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্যই এই ‘ব্যাগ–ফ্রি’ ডে।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ধন সিং রাওয়াত বলেছেন, এ সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হলো স্কুলে শিশুদের সর্বাত্মক বিকাশ ঘটানো, তাদের একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে বিশেষ দক্ষতা ও প্রতিভা বিকাশে সুযোগ দেওয়া। শিক্ষামন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘স্কুলের শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশের জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে তারা পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের বিশেষ দক্ষতায় উন্নতি করতে পারে এবং তাদের জন্মগত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারে।’
অভিভাবক ও শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠন রাজ্য সরকারের এ সিদ্ধান্তকে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসা করেছে।