শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুক্রবার খোলা রাখার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে বলা হয়েছে, ‘শিখনঘাটতি কাটাতে শনিবার অস্থায়ীভাবে বিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠদান অব্যাহত আছে। শুক্রবার প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
এর আগে গত মঙ্গলবার ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যালয়গুলোর জন্য আমাদের নির্দিষ্ট কর্মদিবস আছে। এখন প্রয়োজনে শনিবার বিদ্যালয় খোলা রেখেছি। কারণ, বেশ কিছুদিন বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এটি স্থায়ী বিষয় নয়। প্রয়োজনবোধে যেকোনো ছুটির দিন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত আগেও ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এটি নতুন কিছু নয়। শুক্রবারও তো অনেক জায়গায় পরীক্ষা হয়, আগেও নেওয়া হতো। সেটি শুক্রবার হোক, শনিবার হোক, প্রয়োজন সাপেক্ষে খোলা রাখতে পারব।’
বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের একেক অঞ্চলের তাপমাত্রা একেক রকম। এখন উত্তর–পূর্বাঞ্চল ও হাওড় এলাকার তাপমাত্রা কম। তবে অতিবৃষ্টিতে কয়েক দিনের মধ্যেই সেখানে বন্যার কারণে পাঠদান বন্ধ রাখতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ বিভিন্ন ছুটির কারণে লার্নিং গ্যাপ কমাতে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন শুক্রবারেও ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে একধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নিদের্শনা নিয়ে আসতে হবে? সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব, তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।