সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে দেশের মোট ৭৩টি গণগ্রন্থাগারকে শিগগিরই ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এ উদ্যোগ নিয়েছে। গতকাল সোমবার আইসিটি বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন প্রজন্মের চাহিদা বিবেচনা করে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার কাজে লাগিয়ে জ্ঞানসমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণে ৭১টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি গণগ্রন্থাগারে আইসিটি সফটওয়্যার ও সময়োপযোগী যন্ত্রপাতি স্থাপনের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করাই এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। এ ছাড়া তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে মানসম্পন্ন অনলাইন সেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে এসব গণগ্রন্থাগারকে ই-লাইব্রেরিতে পরিণত করা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ৭৩টি গণগ্রন্থাগারকে ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ বাস্তবায়নে গত রোববার রাতে ভার্চ্যুয়ালি আইসিটি বিভাগ ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. এনামুল কবিরসহ তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা জুম-অনলাইনে এ সভায় সংযুক্ত ছিলেন।
পর্যালোচনা সভায় আইসিটি বিভাগের এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর জানানো হয়, এসব লাইব্রেরির প্রতিটির জন্য স্বতন্ত্র লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনার ডিজিটাল পদ্ধতি সংযোজিত হবে, যেখানে থরে থরে সাজানো থাকবে ই-বুক। থাকবে স্বতন্ত্র শিশু ও মুজিব কর্নার। প্রতিটি ই-লাইব্রেরি এমনভাবে সাজানো হবে, যাতে পিসি ছাড়াও সব ধরনের মোবাইল থেকেই স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রন্থাগারে ভার্চ্যুয়াল প্রবেশের মাধ্যমে পছন্দের বই পাঠক পড়তে পারেন।
এ ছাড়া সভায় জানানো হয়, ল্যান নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করে লাইব্রেরিগুলোকে ডিজিটাল রূপান্তরে তারহীন প্রযুক্তির ইন্টারনেট সংযোগ, আইপিফোন, বিভাগীয় গ্রন্থাগারগুলোর জন্য আরএফআইডি প্রযুক্তির ব্যবস্থা করবে আইসিটি বিভাগ।