সব শিক্ষার্থীর কাছে প্রযুক্তির সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে

দেশের শিক্ষা কাঠামোর সমৃদ্ধির জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার্থীদের কাছে ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তিগত সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে। অনলাইনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিতকরণ’ শীর্ষক মতবিনিময় অধিবেশনে এমন পরামর্শ দিয়েছেন অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা। এতে দেশের শিক্ষাবিদ, প্রযুক্তিবিদ, নীতিনির্ধারক এবং উন্নয়নকর্মীরা অংশ নেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম এবং সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) কর্মসূচির উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার অধিবেশনটি অনুষ্ঠিত হয়। মূলত করোনা মহামারির প্রভাবে শিক্ষাব্যবস্থার সংকট থেকে উত্তরণের সম্ভাব্য উপায় খুঁজে বের করা ছিল এর লক্ষ্য। সেই সঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক শিক্ষা খাতের অগ্রগতির বিষয়টিও আলোচনায় ছিল।

দেশের শিক্ষাব্যবস্থার চিত্র আমূল বদলে দিতে চাইলে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দিতে হবে। একই সঙ্গে চলমান অনলাইন ক্লাসগুলোকে বিশেষায়িত অ্যাপের মাধ্যমে আরও বেশি শিক্ষার্থীবান্ধব করে তৈরি করা এবং অনলাইনে পরীক্ষাপদ্ধতি চালু করার ব্যাপারে জোর দেন অধিবেশনে অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার কেবল উচ্চশিক্ষা কিংবা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই সীমাবদ্ধ না রেখে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সেটা প্রাথমিক শিক্ষা কাঠামো থেকেই।

এটুআইয়ের পলিসি উপদেষ্টা আনির চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে অধিবেশনের দলীয় উপস্থাপনা পর্বে অংশ নেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অতিরিক্ত পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) নাসিমা রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাহবুবুর রহমান বিল্লাহ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. জাহাঙ্গীর আলম, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি মোহাম্মদ মহসিন, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রধান মুরশিদ আক্তার। অধিবেশনে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ফোরামের কমিউনিটি বিশেষজ্ঞ (ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া) সুচি কেদিয়া।