জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিতের প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ করতে আসা বিভিন্ন সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৩০-৪০ জনকে পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা৷ তাঁরা বলছেন, আটকের সময় তাঁদের ‘নুরুর (ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল) লোক’ বলে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়।
বিক্ষোভের জন্য জড়ো হলে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহবাগ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ থানার ফটকের পাশে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বেলা সোয়া একটার দিকে পুলিশের রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশীদ ও শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুন অর রশীদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করতে দেখা যায়।
পুলিশের বাধার মুখে পড়া শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের উল্টো দিকে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ‘আমরা শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে এসেছি। কিন্তু পুলিশ আমাদের বাধা দিল। আমাদের ৩০-৪০ জনকে নুরুর লোক বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পুলিশ আটক করেছে। আমাদের নারী সহযোদ্ধাদেরও গায়ে হাত তোলা হয়েছে। আমরা বলতে চাই, আমরা কোনো দল বা ব্যক্তির লোক নই। আমরা নিজেদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে এখানে এসেছি। আমাদের আটককৃত সহযোদ্ধাদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই শিক্ষার্থীদের দাবি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে বিভিন্ন বর্ষের চলমান মৌখিক, স্নাতকোত্তর ও স্নাতক তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষাগুলো স্থগিতের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
শাহবাগ থানার ওসি প্রথম আলোকে বলেন, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে।