বেলা সাড়ে ১১ টায় নগরের চারুকলা ইনস্টিটিউটে এ সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য শিরীণ আখতার। মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ এন্টারপ্রাইজ বিজনেস অফিসার আদিল হোসেন নোবেল। আরও উপস্থিত ছিলেন রবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার আরিফ আহমেদ চৌধুরী, অনুপম কুমার দে, কায়সার হামিদ ফরহাদ, আবদুল্লাহ আল মামুন, মোস্তফা আল মামুন প্রমুখ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, সিন্ডিকেট সদস্য, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পয়লা নভেম্বর থেকেই শিক্ষার্থীরা রবি সিমের মাধ্যমে এ ডেটা পাবেন। কারও সিম না থাকলে মাত্র ১০ টাকায় রবি সিম কেনার সুযোগও থাকছে। অবশ্য এ দশ টাকা সিম চালু করলে রিচার্জ হিসেবে পেয়ে যাবেন শিক্ষার্থীরা। আর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রদত্ত ফরমে রেজিস্ট্রেশন করে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য শিরীণ আখতার বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এই মহামারিতে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনলাইনে ক্লাস চালু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। শতভাগ শিক্ষার্থীকে ক্লাসে আনতেই মূলত রবি সিম ও ১৫ গিগাবাইট ডেটা দেওয়া হচ্ছে। রবির এ সহযোগিতা প্রশংসার দাবি রাখে। তারা অতি সুলভমূল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটের এ প্যাকেজ দিচ্ছে।
আদিল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত না হয়, সে উদ্দেশ্যেই রবি এ ধরনের কাজগুলো করছে। ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের সবক্ষেত্রে ‘ডিজিটাল জীবনধারা’ প্রসারের জন্যই কাজ করছে রবি। পাশাপাশি করোনা মহামারিতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে চুক্তি করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ডেটা প্যাক দেওয়া হচ্ছে। মূলত সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এ ধরনের প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হয়েছে। মহামারিতে ব্যবসা ভালো খারাপ মিলিয়েই হবে। কিন্তু এ ধরনের উদ্যোগগুলো বেশি বেশি নিতে হবে।