রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর ক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষ, ছাত্রাবাস, ক্যাম্পাস, অফিসসহ সর্বত্র যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত ক্লাসসহ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল গতকাল সোমবার বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ স্বল্প সময়ের মধ্যে সব শিক্ষার্থীর টিকাদান সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ ও মনিটরিংয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন বলে রাষ্ট্রপতির উপপ্রেস সচিব মুন্সী জালাল উদ্দিন বাসসকে এসব কথা জানান।
রাষ্ট্রপতি করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত ক্লাসসহ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন। সে ক্ষেত্রে আবদুল হামিদ বলেন, সবকিছুর ওপরে থাকতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। সাক্ষাৎকালে উপাচার্য আখতারুজ্জামান রাষ্ট্রপতিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিক অবহিত করেন। তিনি রাষ্ট্রপ্রধানকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী কমপক্ষে এক ডোজ টিকা পাওয়ার পর সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ধাপে ধাপে ক্লাস কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদল তাদের প্রতিষ্ঠানে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করে।
প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় বর্ণাঢ্য আয়োজনের প্রস্তুতি বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম ও সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।