ইউনেসকোর মদনজিৎ সিং সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড লিগ্যাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস স্টাডিজ (ইউএমএসআইএলএস) এলএলএম প্রোগ্রামের নবীনদের সংবর্ধনা ও ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠান হয়।
দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ১৫টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ২২ জন শিক্ষার্থী ইউএমএসএলএসের অর্থায়নে সম্পূর্ণ এবং আংশিকভাবে বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়ে এলএলএম প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
জাতীয় অধ্যাপক ইউএপির উপাচার্য ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। জামিলুর রেজা চৌধুরী এসএএফ এবং ইউএমএসএলএস সম্পর্কে বক্তব্য দেন। এ ছাড়া ২০০০ সালে ইউনেসকোর শুভেচ্ছাদূত মদনজিৎ সিং কীভাবে আটটি স্বায়ত্তশাসিত একটি ধর্মনিরপেক্ষ, অলাভজনক এবং অরাজনৈতিক সংস্থা হিসেবে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তারও বর্ণনা দেন তিনি। নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশ থেকে এলএলএম প্রোগ্রামের সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী।
গণফোরামের সভাপতি এবং এসএএফের চেয়ারম্যান (বাংলাদেশ চ্যাপটার) ড. কামাল হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। তিনি দক্ষিণ এশীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে আইনি ও মানবাধিকার শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যে ইউএপির আইন ও মানবাধিকার বিভাগ জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর গতিশীল নেতৃত্বে মানসম্মত আইনি ও মানবাধিকার শিক্ষা প্রদানে সক্ষম হয়ে একটি উৎকর্ষতার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ‘ডেইলি স্টার’–এর সম্পাদক ও প্রকাশক এবং এসএএফ উপদেষ্টা বোর্ডের বাংলাদেশের সদস্য মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ‘আমাদের সমাজে আইনি শিক্ষার মহান তাৎপর্য এবং নাগরিকদের অধিকার রক্ষাকারী হিসেবে আইনজীবীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি পেশাগত জীবনে ড. কামাল হোসেনের আন্তরিকতার কথা স্মরণ করেন এবং শিক্ষার্থীদেরকে এ বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানান।
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন এবং বিওটির কোষাধ্যক্ষ কাইয়ুম রেজা চৌধুরী অনুষ্ঠানে বিওটির পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এলএলএম প্রোগ্রামের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ড. চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী এবং ইউএপির আইন ও মানবাধিকার বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান ধন্যবাদ প্রদান করেন।