বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের দোতলায় গিয়ে দেখা গেল বেশ কিছু শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। সবার মুখে মাস্ক। বসেছেন দূরত্ব মেনে। তাঁদের মধ্যে একজন মোস্তাফিজুর রহমান। আইন বিভাগের স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক ছাত্র। তবে হল এখনো বন্ধ থাকায় ঢাকায় এক বন্ধুর কাছে থাকেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে বন্ধের দেড় বছর পর খোলার প্রথম দিন আজ রোববারই গ্রন্থাগারে এসেছেন।
দীর্ঘদিন পর গ্রন্থাগারে আসার অনুভূতি জানাতে গিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে প্রাণ ফিরে পেয়েছি। আমি আমার আসল জায়গায় আসতে পেরেছি। এখন আবার পুরোদমে পড়াশোনা শুরু করা সম্ভব হবে।’
মোস্তাফিজুর আরও বলেন, বন্ধের আগে নিয়মিত গ্রন্থাগারে বসে পড়াশোনা করতেন। আজ সকাল নয়টার দিকেই ক্যাম্পাসে চলে এসেছেন। নির্ধারিত সময় সকাল ১০টায় গ্রন্থাগারে ঢুকেছেন। বলেন, ঢোকার সময় তাপমাত্রা মেপেছেন। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করেছেন। ফটকে মাস্কও দেওয়া হচ্ছে। তিনি করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। পরিচয়পত্র ও টিকা নেওয়ার তথ্য যাচাই করে ঢুকতে পেরেছেন।
দীর্ঘ দেড় বছর পর আজ খুলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশাপাশি বিভাগের সেমিনারের গ্রন্থাগারও খুলেছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। গ্রন্থাগার খুলে দেওয়ার পর ফটকে অন্তত করোনার এক ডোজ টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র দেখিয়ে গ্রন্থাগারে ঢুকতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। তবে বাইরে থেকে কোনো বইপত্র নেওয়া যাচ্ছে না।
১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আজ থেকে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও সেমিনার গ্রন্থাগারগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। একই শর্তে এই দুই বর্ষের শিক্ষার্থীদের আগামী ৫ অক্টোবর আবাসিক হলে তোলা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক মো. নাসিরউদ্দিন মুন্সী প্রথম আলোকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রন্থাগার খোলা হয়েছে।