ঘূর্ণিঝড় মোখার জন্য এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার নির্দেশ

৩০ এপ্রিল এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।কেন্দ্রের সামনে শিক্ষার্থীরা। সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্র, সিলেট, ৩০ এপ্রিল
ছবি: আনিস মাহমুদ

ঘূর্ণিঝড় মোখার জন্য চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষাবর্ষগুলোর চেয়ারম্যানদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সবগুলো শিক্ষাবোর্ড নিয়ে গঠিত আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বোর্ড চেয়ারম্যানদের অনুরোধ করা হয়।

সব চেয়ারম্যানদের কাছে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় মোখা আগামী দু-এক দিনের মধ্যে দেশের উপকূল এলাকাসহ সারা দেশে প্রবল বেগে অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সতর্কতামূলক সংবাদ পরিবেশ করা হচ্ছে। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলমান থাকায় শিক্ষাবোর্ডগুলোকেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক। এ জন্য ট্রেজারি, থানা ও পরীক্ষা কেন্দ্রে রাখা পরীক্ষা সংক্রান্ত সব গোপনীয় মালামাল নিরাপদ ও সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণ করার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশনা প্রয়োজন।

পরীক্ষা শুরুর আগে কথা বলছে দুই শিক্ষার্থী। রংপুর জিলা স্কুল, রংপুর

আগামী রোববার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা। তবে এর অগ্রভাগ আগের দিন অর্থাৎ শনিবার রাতেই বাংলাদেশের উপকূল স্পর্শ করবে। মোখার ফলে অতি ভারী বৃষ্টি হবে উপকূলে এবং অন্যান্য স্থানে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে বাংলাদেশেরও যথেষ্ট ঝুঁকি আছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার অবস্থান ও গতিপ্রকৃতি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান।

পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র, ময়মনসিংহ

উল্লেখ, গত ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সময়সূচি অনুযায়ী ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও দাখিলের (ভকেশনাল) লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ২৩ মে। আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিলের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ২৫ মে। এবার এসব পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল পৌনে ২১ লাখ। তবে তাদের মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়নি।