বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তির সিদ্ধান্ত অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার পর

ভর্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উচ্চশিক্ষায় ভর্তি মানেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা। একসময় এ দুশ্চিন্তার সঙ্গে বড় রকমের দুর্ভোগও ছিল। ভর্তি পরীক্ষা দিতে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকে দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দৌড়াতে হতো। এতে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হতেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও অর্থের অপচয় কমাতে এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (জিএসটি) ১টি গুচ্ছভুক্ত হয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। এ ছাড়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একটি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট); খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট); রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) আরেক গুচ্ছভুক্ত হয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় ভর্তি-ইচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী একটি পরীক্ষা দিয়ে তাঁর যোগ্যতা ও পছন্দ অনুযায়ী গুচ্ছে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছেন।

বর্তমানে সারা দেশে ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ১১৪টি অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ৮৮১টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয়। এ ছাড়া ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মাদ্রাসা এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাতটি বড় সরকারি কলেজে উচ্চশিক্ষায় পড়ানো হয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ভর্তিপ্রক্রিয়ার কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা আছে। এ অবস্থায় আজ বুধবার সচিবালয়ে বিশেষ সহকারী অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে গুচ্ছপ্রক্রিয়ায় ভর্তির বিষয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় গুচ্ছপ্রক্রিয়ায় ভর্তির বিষয়ে বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের মতামত গ্রহণ করা হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সর্বজনগ্রাহ্য ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।